শেরপুরে আ.লীগের কমিটি থেকে ৩৫ নেতাকর্মীর পদত্যাগ
শেরপুরের নকলা উপজেলার ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে ৩৫ জন নেতাকর্মী একযোগে পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারীদের অভিযোগ, ঘোষিত কমিটিতে স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্যকে যুক্ত করা, ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন না করা এবং অর্থের বিনিময়ে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিএনপির লোকজনকেও কমিটিতে স্থান করে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
জানা গেছে, কিছুদিন আগে ৮নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ৫১ সদস্যের ওই কমিটি ঘোষণা করেছিল। কিন্তু কমিটিতে কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে তিনজন সহসভাপতি ও একজন সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকসহ মোট ৩৫ নেতাকর্মী পদত্যাগ করেন।
রবিবার সাংবাদিকদের কাছে পদত্যাগপত্রের কপি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৮ মার্চ ৮ নং চর অষ্টধর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করার পর একটি পক্ষ পদ বঞ্চিত হয়ে সভাস্থলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এসময় উভয়পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এই পরিস্থিতিতে পরবর্তীতে আলোচনা করে কমিটি ঘোষণা করার কথা জানিয়ে চলে আসেন নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলন অনুষ্ঠানের ৬ মাস পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এমরান হোসেনকে সভাপতি ও হিরাবুল বাদশাকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্যের ইউনিয়ন কমিটি অনুমোদন করেন উপজেলা আওয়ামী লীগ। এই কমিটি ঘোষণা করার পর আবারও ক্ষোভ দেখা দেয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাঝে। ওই কমিটি অনুমোদনের প্রতিবাদে স্থানীয় নারায়ণখোলা বাজারে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
এসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ঘোষিত কমিটির সভাপতি স্বাধীনতা বিরোধী পরিবারের সদস্য এবং তার বাবা পিস কমিটির সদস্য ছিলেন। এছাড়া অভিযোগ করা হয়, কমিটিতে আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। অর্থ লেনদেন ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিএনপির লোকজনকেও কমিটিতে স্থান করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আম্বিয়া খাতুন বলেন, যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করে যোগ্যদেরকেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠনে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ একেবারেই মিথ্যা। কাঙ্ক্ষিত পদ না পেয়ে এসব মিথ্যা অভিযোগ করে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করা হচ্ছে।
কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, তার সহোদর বড় ভাই ১৩ বছর ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তখন তো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি।
(ঢাকাটাইমস/১১সেপ্টেম্বর/এআর)
মন্তব্য করুন