পর্যটকদের আকর্ষণ মেঘালয় পাহাড় ঘেষা লাকমা ছড়া
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলাকে পর্যটন শিল্পের বিকাশে পরিচিতি এনে দিয়েছে মেঘালয় পাহাড়ঘেষা টাংগুয়ার হাওর। এর পাশাপাশি শহিদ সিরাজলেক, ট্যাকেরঘাট, বারেকটিলা, যাদুকাটা নদী, শিমুল বাগানতো রয়েছেই। এসব পর্যটনস্পষ্ট পর্যটকদের আকর্ষণ করেছে, তেমনি মেঘালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা ছড়াগুলো স্বচ্ছ পানি পর্যটকদের কাছে নতুন আকর্ষণীয় স্থানে পরিচিতি পেয়েছে।
এসব ছড়াগুলোতে শুষ্ক মৌসুমে পানি কম থাকায় পর্যটকদের উপস্থিতি একটু কম থাকে। তবে বর্ষায় ছড়াগুলোর নান্দনিকতা বহুগুণ বেড়ে যায়। বর্ষার সময় যারা হাওরে ঘুরতে আসনে তারা ছড়ার সৌন্দর্য দেখতে ভোলেন না। ফলে বর্ষায় ছড়াগুলোতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
প্রতিটি ছড়াই ভারত থেকে প্রবাহিত হয়ে এই উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নে প্রবেশ করে হাওরে মিশেছে।
এখানকার পরিবেশ আর পাহাড়ের সৌন্দর্যকে অবলম্বন করে আগত পর্যটকদের কিছু সুবিধা দিয়ে এখানকার বেকার যুবকরা নিজেদের কর্মসংস্থান সুযোগ রয়েছে বলে জানান স্থানীয় সচেতন মহল।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সীমান্ত ঘেষা লাকমা ছড়া, লালঘাট ছড়া, রাজাই ঝর্ণা, চাঁনপুর ছড়া, ট্যাকেরঘাট ছড়া, কলাগাঁও ছড়া ও বীরেন্দ্র নগর ছড়া অন্যতম। তারমধ্যে লাকমা ছড়া দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে অন্যতম। আগে এই ছড়াগুলো নালা হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু বর্ষায় প্রবল বেগে পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবাহিত হওয়ায় নালাগুলো বড় হয়েছে। ফলে এসব ছড়ায় এখন সারা বছরই পানি থাকে। যারা টাংগুয়ার হাওরে বেড়াতে আসেন তারা রাতে ট্যাকেরঘাট এলাকায় রাত্রীযাপন করেন। তার জন্য টাংগুয়ার হাওর থেকে কেউ দুপুরে কেউবা বিকালে ট্যাকেরঘাট এসেই লাকমা ছড়ায় যান।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক সাকিল আহমেদ বলেন, মেঘালয় পাহাড় থেকে বয়ে আসা স্বচ্ছ পানির ছড়াগুলো অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয়। দৃষ্টিনন্দন টাঙ্গুয়ার হাওরসহ বিভিন্ন পর্যটন হাওরে বেড়াতে এসেছিলাম কিন্তু হাওরের পাশেই পাহাড়ি ছড়ার স্বচ্ছ পানি, পাহাড়ের সবুজ প্রকৃতি আর নিরিবিলি চারপাশ এত সুন্দর পরিবেশ আছে সেটা জানা ছিল না। এসে ভাল লাগছে।
আরেক পর্যটক শরীফুল ইসলাম জানান, এখানে এসে ভাল লাগছে। এখানকার পরিবেশ পাহাড় অসাধারণ। পাহাড় থেকে নেমে এসেছে স্বচ্চ পানি সারাদিনের ক্লান্তি দুর করে দিয়েছে। কিন্তু এখানে জাফলং জিও পয়েন্টর মত বসা, খাবার ও ভেজা কাপড় পরিবর্তন করার ব্যবস্থা করা হলে ভাল হত।
সীমান্তের লাকমা গ্রামের মোটরসাইকেল চালক বাছিত মিয়া বলেন, টাংগুয়ার হাওর বেড়ানোর পর পর্যটকরা ট্যাকেরঘাট আসেন। সেখান থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া করে লাকমা ছড়াসহ বিভিন্ন ছড়া দেখতে যান। ঐসব ছড়াগুলো এখন পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে। তাদের পরিবহন করে আমরাও লাভবান হচ্ছি।
(ঢাকাটাইমস/১৭ সেপ্টেম্বর/ইএইচ)