ঢাকাবাসীর জন্য একজন সুপারম্যান হয়ে আসছেন হাবিবুর রহমান

পুলিশ কর্মকর্তা জনাব হাবিবুর রহমানের নাম বাংলার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে আজীবন। আমার দেখা মতে তার মত চৌকস ও মানবাধিকার বোধ সম্পন্ন পুলিশ কর্মকর্তা বাংলাদেশে বিরল। এ যাবতকালের শ্রেষ্ঠ ডি এম পি কমিশনার হবেন তিনি।
তার জীবনের সবচেয়ে বড় শক্তি খেটে খাওয়া মেহেনতি মানুষ ও সমাজের অবহেলিত মানুষের দোয়া। ভালোবাসা অবিরাম।
অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান ব্যক্তিগত প্রচার ও প্রকাশ পছন্দ করেন না বলেই তাঁর আত্মত্যাগ অনেকের অজানা। আজ তাই কিছু কথা লিখতে মন চাইছে। তুলে ধরতে ইচ্ছে হচ্ছে কিছু মহতি উদ্যোগ।
বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র হাবিবুর রহমান। তাঁর ব্যাপারে যত বলা যায় ততই যেনো কম হয়ে যায়। পুলিশের গুরু দ্বায়িত্ব গুলো সঠিক ভাবে পালনের পাশাপাশি তিনি সমাজের পিছিয়ে পড়া ও অসহায় মানুষের জন্য যেভাবে কাজ করেছেন তা আভিভুত করার মতই। লক্ষ লক্ষ বেদে পল্লীর সদস্য, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনে তিনি যেনো এসেছেন একজন দেবদূত হয়ে। আজ তারা অন্ধকার অপরাধপ্রবণ জগত থেকে আলোকিত সমাজে ফেরার পথে এগিয়ে চলছে। মাদক ব্যাবসা, হাত পাতা বা প্রতারনার মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের প্রচেষ্টা বাদ দিয়ে সত পথে কর্মসংস্থান করে সাবলম্বি হওয়ার চেষ্টা করছে এই খ্যাতিমান পুলিশ কর্মকর্তার ছোয়ায়। এছাড়া যৌনপ্ললীর অবহেলিত ও নিপিড়িতদের পাশে দাড়ানো তাদের সন্তানদের স্কুলে ভর্তির অধিকার ও পতিতা-দের মৃত্যুর পর জানাজা না হওয়ার প্রথা ভেঙ্গে তাদেরও জানাজার অধিকার আদায় করে দিয়েছেন তিনি। যা বাংলাদেশে ইতিহাস হয়ে থাকবে। এই মহান কাজগুলোর কথা গুগল করলে এত অসংখ্য পরিমান তথ্য ও নিউজ পাওয়া যায় যে সব গুলো পড়ে শেষ করতে কয়েকদিন লেগে যায়।
করোনার মহাবিপদময় দুর্যোগের সময় সবাই যখন অসহায় অবস্থা পার করছে তখন কিছুটা হলেও মানুষকে যেন স্বস্তিতে রাখা যায় সেই চেষ্টা করছে যারা, তাদের মধ্যে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে বাংলাদেশ পুলিশের এই কর্মকর্তা। ততকালীন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি ছিলেন তিনি। প্রতিটা মুহূর্ত নিজ আয়ত্তাধীন ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলা পুলিশের করোনা আক্রান্ত প্রতিটি সদস্যের খোঁজ নিয়েছেন, প্রায়ই ছুটে গিয়েছেন আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের খোঁজ খবর নিতে। আর তা দেখে অনেক পুলিশ সদস্য আবেগে, আনন্দে আত্মহারা হয়ে অবিশ্বাস নিয়ে তাকিয়ে থাকতেন। যারা দূরে তাদের সরাসরি মুঠোফোনে খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি নিজেও সশরীরে মাঠে নেমেছেন জনগণকে সাবধান করার লক্ষ্যে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলছেন গাড়ির ড্রাইভারদের সাথে, যাত্রীদের সাথে, পথচারীদের সাথে। অথচ তিনি চাইলে এ সমস্ত কিছু নিজের অফিস কক্ষে বসে করতে পারতেন তার লোকবল দিয়ে।
এত কিছু করতে গিয়ে নিজের পরিবারকেও ত্যাগ করেছিলেন তাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে। অফিস থেকে বাসার দূরত্ব হেঁটে গেলেও ১০ মিনিটের বেশি লাগার কথা নয়। অথচ রোজার প্রায় দু মাস তিনি বাসায় যাননি পরিবারের সংক্রমনের ভয়ে। পুলিশের পাশাপাশি মাঠে কাজ করা সাংবাদিকদের প্রতিও খেয়াল রাখার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তাদের সুরক্ষার জন্য ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় সাংবাদিকদের দিয়েছেন করোনা সুরক্ষা সরঞ্জাম। করোনার মত মহামারির মধ্যে ডিআইজি হাবিবুর রহমান যেনো ছিলেনভএক টুকরো স্বস্তির আলো।
নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি ঢাকা বাসীর জন্য একজন সুপারম্যান হয়ে আসছেন হাবিবুর রহমান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ প্রধানের চেয়ারে।
লেখক: তরুণ উদ্যোক্তা

মন্তব্য করুন