লুটপাট করে যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপের ব্যাংকে যারা টাকা রেখেছে, তাদের ঘুম নেই: মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২২:৩৪

যারা দেশের টাকা লুট করে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ব্যাংকে রেখেছে, তাদের ঘুম নেই বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কার্যকরের পর তাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

সোমবার বিকালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তালতলা মার্কেটের সামনে এক দফার যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চের পদযাত্রাপূর্ব সংক্ষিপ্ত গণসমাবেশে এসব কথা বলেন মান্না।

ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক একটি সংবাদ সম্মেলনের প্রসঙ্গ টেনে মান্না বলেন, কেউ জানতে চায়নি, তারপরও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পদ যদি নিয়ে যায় যাক; অসুবিধা কী? বাংলাদেশ তো আছে। তাহলে সজীব ওয়াজেদ জয় এতদিন কোথায় ছিলেন? এখন সজীব ওয়াজেদ জয় কোথায় আছেন?’

ক্ষমতাসীন দলের ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ইচ্ছামত জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে দাবি করে মান্না বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে সরকার কোনো ব্যবস্থা নিতে পারে না। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। সব রাজনৈতিক দল বলেছে, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। মুক্তি দিয়ে বিদেশ পাঠিয়ে দেন। কিন্তু সরকার তাকে বিদেশ পাঠাবে না। একজন আইনমন্ত্রী আছেন, তিনি বলছেন, আমাদের আইনে খালেদা জিয়ার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। আইনমন্ত্রীর কাছে যদি আইন না থাকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যদি একজন বন্দির চিকিৎসার জন্য মুক্ত করার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে তাদের দিয়ে কী করব।’

গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মান্না বলেন, এই সরকারের পরিবর্তনের জন্য মানুষ এখন সিদ্ধান্তমূলক কর্মসূচির অপেক্ষা করছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ধারাবাহিকভাবে জনপ্রত্যাশা অনুযায়ী একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।

তিনি দল-মত নির্বিশেষে দেশ ও জনগণকে রক্ষার এই সংগ্রামে সবাইকে অংশগ্রহণের জন্য উদাত্ত আহ্বান জানান।

গণসমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, এই সরকার জনমতকে উপেক্ষা করে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে দেশকে নানা দিক থেকে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এক দিকে সরকারের বেপরোয়া তৎপরতায় সংঘাত-সংঘর্ষের আংশকা সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে পরাশক্তি সমূহের হস্তক্ষেপের রাস্তাও তারা তৈরি করে দিচ্ছে। সরকারের এই আচরণের জন্য আজকে বাংলাদেশকে অবমাননাকর ভিসা নীতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখনো পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে সরকারের বিদায় নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। না হলে গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থানের পথে এই সরকারকে বিদায় নিতে বাধ্য করা হবে।

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য প্রীতম দাশের সঞ্চালনায় গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত গণসমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জেএসডির সিনিয়র সহ-সভাপতি তানিয়া রব, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়সার, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আনছার আলী দুলাল, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম-আহবায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম, জেএসডির ঢাকা মহানগর পূর্বের আহবায়ক মোহাম্মদ নাসিম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের অর্থনৈতিক সমন্বয়ক দিদারুল ভুঁইয়া প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে তালতলা মার্কেট থেকে পদযাত্রা শুরু হয়ে মালিবাগ হয়ে আবুল হোটেলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

ঢাকাটাইমস/২৫সেপ্টেম্বর/জেবি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :