মোহাম্মদপুরের সন্ত্রাসী ‘রক্তচোষা জনি’ গ্রেপ্তার, বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী মো. মনির হোসেন ওরফে জনি মিয়া ওরফে ‘রক্তচোষা জনিকে’ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশকে কুপিয়ে জখম করা, ডাকাতি, মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আছে এই জনির বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার দুপুরে মোহাম্মদপুরের একতা হাউজিং এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি ও তিনশ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।
পুলিশ বলছে, সন্ত্রাসী জনির বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে একডজনের বেশি মামলা রয়েছে।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মোহাম্মদপুর এলাকায় সংঘবদ্ধ কিশোর গ্যাং নিয়ে কাজ করতে গিয়ে এই এলাকা সবচেয়ে দুর্ধর্ষ, কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী রক্তচোষা জনিকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
‘চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা আছে। অনেক বড় বড় অপরাধে জড়িত ছিল এই জনি। আমরা তার বিরুদ্ধে নতুন করে দুইটি মামলা দিবো। একটি অস্ত্র আইনে অপরটি মাদক আইনে।’
রক্তচোষা জনি কেন নাম হলো জানতে চাইলে আজিমুল হক বলেন, ‘তার বিভিন্ন কুখ্যাতির জন্য স্থানীয়রা তাকে এই নামে মানুষ ডেকে থাকে। অবশ্যই সে এমন কোনো কাজ করেছে বা রক্ত খেতে পারে যার কারণে এই ভয়ঙ্কর নামের খ্যাতি পেয়েছে। তার নামে মামলার সংখ্যা দেখেই বোঝা যাচ্ছে সে কততা ভয়ঙ্কর। বেশকিছু দিন ধরে সে সাধারণ মানুষকে বিরক্ত করছিল। অতঃপর তাকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
ঢাকা উদ্যানের রুহুল আমিন ও তার ভাই রুবেল সন্ত্রাসী জনিকে মাদক ব্যবসায় প্রশ্রয় দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তেজগাঁও বিভাগের ডিসি বলেন, ‘তার দুস্কর্মের সহযোগি, আশ্রয় দেওয়ার লোকজন থাকতে পারে। এ বিষয়গুলো আমরা তদন্তে আনার চেষ্টা করব।’
পুলিশকে কোপানোর ঘটনায় জনির সম্পৃক্ততা আছে জানিয়ে আজিমুল হক বলেন, ‘ইতিপূর্বে এমন ঘটনা সে ঘটিয়েছে। অনেকগুলো অপরাধ সে করেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।’
(ঢাকাটাইমস/২৬সেপ্টেম্বর/এসএস/ডিএম)