ছিনতাইকারীর হামলায় আহত রাজশাহী কলেজের ছাত্র ১৬ দিন পর মারা গেছেন

নাহিদ হাসান, নিয়ামতপুর (নওগাঁ)
 | প্রকাশিত : ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ২৩:৩২
কলেজের ছাত্র নিশাত আকরাম

ছিনতাইকারীর হামলায় আহত রাজশাহী কলেজের ছাত্র নিশাত আকরাম ১৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেগেছেন।

মঙ্গলবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিশাত নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার আড্ডা গ্রামের বাসিন্দা এবং রাজশাহী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রিকশায় ফেরার পথে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন তিনি ও তার সহপাঠীরা। তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের এক অসুস্থ বান্ধবীকে দেখতে এসেছিলেন। পরে রিকশায় করে ফেরার পথে নগরীর বহুমুখী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে তাদের ওপর হামলা করে ছিনতাইকারীরা। তাদের মধ্যে একজন নিশাতকে ধাক্কা দিয়ে রিকশা থেকে ফেলে দেয়। রিকশায় নিশাত আটকে থাকা অবস্থাতেই দ্রুতগতিতে রিকশা চালাচ্ছিলেন চালক। যার ফলে মারাত্মক আহত হন তিনি। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আইসিইউতে স্থানান্তর করেন।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইনচার্জ আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আইসিইউতে ওই শিক্ষার্থী চার দিন অজ্ঞান অবস্থায় তার মস্তিষ্কে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আস্তে আস্তে তার অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে তিনি মারা যান।’

নিশাত আকরামের বাবা খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমার ছেলেটার ও-নেগেটিভ রক্ত। এই রক্ত খুব বেশি পাওয়া যায় না। তাই খবর পেলেই মানুষের জীবন বাঁচাতে রক্ত দিতে ছুটে যেত। গত মাসেও সিরাজগঞ্জ গিয়ে রক্ত দিয়ে এসেছে। অথচ ছিনতাইকারীরা তাকে বাঁচতে দিলো না।

তিনি বলেন, আমার ছেলেটা খুবই ভালো ছিল। তিনমাস পরপর রক্ত দিত। যেকোনো বিপদে ছুটে যেত। আমাকে বলত, বিসিএস ক্যাডার হব। বাবা তোমাকে ৩০ হাজার দিলেই তো চলবে? বাকিটা গ্রামের অসহায় মানুষকে দেব। আমি বলতাম, মানুষকে এত রক্ত দাও কেন? তুমি তো অসুস্থ হয়ে যাবে। সে বলত-আমার রক্ত পাওয়া যায় না। তিন মাস পরপর রক্ত দেওয়া যায়। এতে কোনো ক্ষতি হয় না। বরং মানুষের জীবন বাঁচে।

(ঢাকাটাইমস/০৩ অক্টোবর/ইএইচ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :