গজারিয়ায় আবাসিক এলাকায় চলছে কয়লা বাণিজ্য, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে এলাকাবাসী
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া ঘাট ও নতুন চরচাষি আবাসিক এলাকায় উন্মুক্তভাবে চলছে কয়লা বিক্রি। এতে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ, দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। ক্ষতির শিকার হচ্ছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার বাউশিয়া ফেরিঘাট কাজী ফার্ম নতুন চরচাষি এলাকায় ব্যস্ততম এ সড়কটির পাশে উন্মুক্তভাবে হরহামেশাই স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চালিয়ে যাচ্ছেন কয়লা ব্যবসা। দিনভর কয়লা বোঝাই ট্রাক লোড-আনলোডের ফলে বাতাসে কয়লার ধূলায় অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীরা জানান, নিত্যদিনের সঙ্গী কয়লার ধূলামাখা বাতাস। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলা বলেন, আমাদের ঘরের সঙ্গে কয়লার গধি, রোদের সময় প্রচণ্ড তাপদাহ এবং গন্ধে ঘরে থাকা যায় না। বেশি কিছু বলতে পারি না। যারা ব্যবসা করে তারা এলাকার প্রভাবশালী। কয়লার গন্ধে ও ধূলাবালির জন্য ঘরের দরজা, জানালা, আসবাবপত্র ও পোশাক পরিচ্ছদ নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি খাবারের সঙ্গে খেতে হচ্ছে ধূলা মেশানো ভাত ও তরকারি। কয়লার ধুলোর কারণে এখন বসবাস করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।
এদিকে জাহাজ থেকে কয়লা মাথায় বহন করে নামানোর জন্য প্রতিদিন কাজ করেন শত শত শ্রমিক। শ্রমিকরা সুরক্ষা সামগ্রী ছাড়া কাজ করায় নানাবিধ সমস্যায় পড়ছেন।
কয়লার গদিমালিক সোহাগ মোল্লা জানান, শিল্প কারখানা প্রবেশ গেট সংলগ্ন কয়লার গদি ব্যবসা বিভিন্ন স্থানে চলমান রয়েছে। আমাদের এই এলাকায় কয়লা ব্যবসা চালু রাখার জন্য রয়েছে যথাযথ অনুমোদন।
আবাসিক এলাকায় কয়লা ব্যবসা বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, পরিবেশের দূষণ হয় এবং আইনের পরিপন্থী কিছু হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(ঢাকাটাইমস/১৬অক্টোবর/প্রতিনিধি/এআর)