নাশকতার অভিযোগে সারাদেশে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ৪৪
রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার অভিযান চালিয়েছে র্যাব। অভিযানে রাজধানীর ফকিরাপুল ও চট্টগ্রামে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও মাদকদ্রব্যসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট ৪৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে নিশ্চিত করেছে র্যাবের মিডিয়া উইং।
র্যাব জানায়, গত ২৮ অক্টোবর (ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন) হামলা ও নাশকতাসহ পরবর্তীতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ও নাশকতার সঙ্গে জড়িত সর্বমোট ৬৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সহিংসতা ও নাশকতা প্রতিরোধ ও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীতে র্যাবের ১৪৮টি টহল ও সারাদেশে ৪৩২টি টহল দল মোতায়েনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে র্যাব ফোর্সেস এর রোবাস্ট টহল পরিচালিত হচ্ছে। যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে নিরাপত্তা প্রদানের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে দূরপাল্লার গণপরিবহন ও পণ্যবাহী পরিবহনকে টহলের মাধ্যমে এস্কর্ট প্রদান করে নিরাপদে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও যেকোন ধরণের নাশকতা ও সহিংসতা প্রতিরোধে বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশনসহ গুরুত্বপূর্ন স্থানসমূহে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতরা গণপরিবহন, ব্যক্তিগত পরিবহন, সরকারি বিভিন্ন যানবাহনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এছাড়াও তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ মানুষসহ বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে। পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে স্বার্থান্বেষী ও সুযোগসন্ধানী মহল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ, গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত পরিবহনে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন ধরনের নাশকতার ঘটনা ঘটায়। সিসিটিভি ফুটেজ, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিও ফুটেজ এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি বিশ্লেষণপূর্বক সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করেছে র্যাব।
(ঢাকাটাইমস/২২নভেম্বর/এইচএম/কেএম)