বনশ্রীতে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
রাজধানীর বনশ্রীতে আফিয়া মোর্শেদা চৈতি (৩৬) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয় হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত চৈতির ছোট ভাই ওমর ফারুক বলেন, আমাদের তিন ভাই এক বোনের মধ্যে চৈতি আপা ছিল সবার বড়। তৌহিদ নামে এক ঠিকাদারের সঙ্গে তিন বছর আগে আমার বোনের বিয়ে হয়। তাদের কোনো সন্তান ছিল না। তারা বনশ্রীর ৬ নম্বর রোডের ই-ব্লকের ২৭ নম্বর বাসার পাঁচ তলায় তার স্বামীর সঙ্গে থাকতো। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে আমার বোন জামাই ফোন দিয়ে আমাকে জানায় ভেতর থেকে দরজা লাগানো। আমার বোন দরজা খুলছে না। পরে আমি মিরপুর থেকে বাসায় এসে দেখি আমার বোন ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। সে সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসার জানায় আমার বোন আর বেঁচে নেই। তিনি বলেন, কী কারণে আমার বোন গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছে তা জানতে পারিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে রাতেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে ওই নারীর গলায় ওড়না পেঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় পাই। পরে পরিবারের অন্যান্যদের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে আমরা জানতে পেরেছি, তাদের কোনো সন্তান না থাকায় মানসিকভাবে ওই গৃহবধূ কিছুটা ভারসাম্যহীন ছিল। প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মাঝে কলহ হতো। হয়ত কলহ বিরোধের জের ধরেই আজ এই ঘটনাটি সে ঘটিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে গৃহবধূর পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই। তাৎক্ষণিকভাবে তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবুও মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/০২ডিসেম্বর/এসএম/ইএইচ)