স্বাক্ষরের কারণে আমার মতো মানুষের মনোনয়ন বাতিল গুরুতর বিষয়: অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনি এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন স্বাক্ষর পদ্ধতি বাতিল চেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি নেত্রকোনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। ‘স্বাক্ষরের কারণে আমার মতো মানুষের মনোনয়ন বাতিল গুরুতর বিষয়’- এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
বুধবার সকালে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল আবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে ভোটার স্বাক্ষর জটিলতায় রিটার্নিং অফিসার তার মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
নেত্রকোনা-৫ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার মতো একজন মানুষের ১ শতাংশ ভোটার সমর্থন না থাকার অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল করেছে এটা গুরুতর বিষয়। তখন আমার কাছে মনে হয়েছে এমন পদ্ধতি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্য একটা কৌশল।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাণ্ডারী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও ভোটে দাঁড়াতে পারবেন। এলাকার মানুষ আনন্দিত, তারা এবার ভোট দিতে পারবে এবং ভোটে প্রতিযোগিতা হবে। এক শতাংশ ভোটার সমর্থনের যে অভিযোগে আমার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে, তখন সাধারণ মানুষ বলছে ষড়যন্ত্র করে একজন ভালো মানুষের মনোনয়ন বাতিল করছে। আমি মনে করি এই আইনটা পরিবর্তন হওয়া উচিত। কেউ যদি না করেন তাহলে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে কাজ করব।’
নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ঘোষণার পর নির্বাচন জমে গিয়েছিল। যখন দেখছে সামান্য কারণে ভালো প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায় তখন আর পরিবেশ ভালো থাকে না। মানুষ বলছে কিসের ভোট?’
এবারের সংসদ নির্বাচনে ২৯টি দল ও স্বতন্ত্র মিলে দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তার মধ্য ১৯শ ৮৫ জনের প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা ও বাকি ৭৩১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, বাতিল হওয়া প্রার্থিতা ফিরে পেতে কমিশনে আপিল দায়ের চলবে ৫ থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত, নিষ্পত্তি ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
ঢাকাটাইমস/০৬ডিসেম্বর/এফএ)