৩৩৮ ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন দিল ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির তালিকার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন--ইসি।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনে এক সভা শেষে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে বুধবার ওসি ও ইউএনও বদলির প্রস্তাব পাঠিয়ে ইসিতে চিঠি দিয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নির্বাচন কমিশন এতে সম্মতি দিয়েছে।
গত ৩০ নভেম্বর সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সব থানার ওসিকে বদলি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। কাদের বদলি করা হবে, সেই প্রস্তাব পাঠানোর জন্য বলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। এই লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ওসির বর্তমান কর্মস্থলে ছয় মাস এবং ইউএনওদের এক বছরের বেশি চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে, তাদের অন্য জায়গায় বদলির নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সেই নির্দেশনার আলোকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রস্তাব পাঠালে ৪৭ জন ইউএনওকে ইতিমধ্যে বদলির অনুমোদন দিয়েছে ইসি। আরও ২০ জনের মতো অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আর ওসি এখনো বদলি হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ৩৩৮ জন ওসি এবং ১১০ জন ইউএনও বদলির প্রস্তাব পেলো কমিশন।
এর আগে ৩০ নভেম্বর পুলিশের আইজিপি, জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সিনিয়র সচিবের সঙ্গে ওসি ও ইউএনও বদলি নিয়ে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
ওই বৈঠকের বিষয়ে ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, তারা তাদের নিজ নিজ দপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম সম্পর্কে কমিশনকে অবহিত করেছেন। বিশেষ করে আইজিপি ও জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা দিয়েছেন। নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে কমিশনকে জানিয়েছেন।
ইসি সচিব বলেন, আর বিকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব প্রশাসনিক কোনো বিষয়ে কোনো নির্দেশনা রয়েছে কি না, তা নিয়ে কমিশনের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন। কমিশন তার বক্তব্য শুনেছে এবং সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। সেভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
উল্লেখ্য, ইসির ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখন রিটার্নিং অফিসার কর্তৃক বাতিল প্রার্থীদের আপিল গ্রহণ চলছে। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানি চলবে। ১৭ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে প্রার্থীদের মধ্যে।
(ঢাকাটাইমস/৭ডিসেম্বর/এলএম/এসএম)

মন্তব্য করুন