বিজয় দিবসের ভাবনাগুচ্ছ...

বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল অর্জনের স্মৃতিবিজড়িত এবং পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বুক ভরে নিঃশ্বাস নেওয়ার বিজয়ের দিন ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। মহান বিজয়ের ৫২ বছর পেরিয়ে ৫৩ বছরে বাঙালি জাতির আত্মগৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারের অধীনে পরিচালিত দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বীর শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতি। আমরা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করি মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের; যেসব নারী ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন তাদেরও। এ দেশের মানুষের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক অধিকার তথা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সফল নেতৃত্ব দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কোটি কোটি মানুষকে তিনি স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করে তুলেছিলেন। তার সঙ্গে ছিলেন একই লক্ষ্যে অবিচল একদল রাজনৈতিক নেতা। শহিদ জাতীয় চারনেতাসহ তাদের সবাইকেই গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে জাতি। স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত চরমপত্রের জনক সাংবাদিক এম আর আখতার মুকুল লিখেছিলেন “আমি বিজয় দেখেছি”। আমাদের অনেকেরই দুর্ভাগ্য হয়তো, আমরা বিজয় দেখিনি। যুদ্ধ দেখিনি। কিন্তু যুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্মই এখন জনসংখ্যার বড়ো অংশ। ৫২ বছর মোটেই কম সময় নয়, দীর্ঘ সময়ই বলা চলে। তাই আমাদের ইতিহাস পড়ে, জেনে, বুঝে বিজয় অনুভব করতে হয়। ইতিহাস আমাদের যা শেখায় তাই শিখি, কেন কখন কীভাবে মুক্তিযুদ্ধ এদেশে আবশ্যম্ভাবী হয়ে গিয়েছিল তার সত্য-মিথ্যা কিছুটা আমরা জানি, অনেক সত্যই জানি না, অনেককে জানার কোনো চেষ্টাও করতে দেখি না। জাতির জনকের সপরিবারে নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ইতিহাস পাল্টে ফেলা হয়। একটা প্রজন্ম দীর্ঘদিন সেই ভুল ইতিহাস পড়েই বড়ো হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত আকাঙ্ক্ষার তাৎপর্য অনুধাবন তাই জরুরি বিবেচনা করি। কারণ মুক্তিযুদ্ধ জড়িয়ে আছে বাঙালির আত্মপরিচয়ের সঙ্গে। এটি আমাদের আগামীর দিকে ধাবিত হওয়ার স্বপ্নও দেখায়। যে আকাক্সক্ষা নিয়ে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, স্বাধীন বাংলাদেশের ৫২ বছর পেরিয়ে তার কতটা বাস্তবায়ন করতে পারলাম আমরা?
আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তায় একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ একটা বেশ বড়ো ধরনের পরিবর্তন এনেছিল। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের একটা অন্তর্নিহিত আকাক্সক্ষা ছিল অর্থনৈতিক মুক্তি, রাজনৈতিক মুক্তি ও সামাজিক মুক্তি। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির সংজ্ঞা নিয়ে নানা ধরনের তর্কবিতর্ক হতে পারে, কিন্তু গভীরভাবে দেখলে বোঝা যায় যে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ একটি শোষণহীন সমাজ, জনগণের রাজনৈতিক অধিকার এবং অর্থনৈতিক প্রগতি ও উন্নতির কথা বলেছে। সামাজিক যে বৈষম্যগুলো বিদ্যমান, সেগুলো দূর করাও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা ছিল। সমাজ গবেষকগণ তাই মনে করেন, এই ৫২ বছরে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক- অনেক দিক থেকেই আমরা হয়তো এগিয়েছি, কিন্তু সামগ্রিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের যে অন্তর্নিহিত আকাঙ্ক্ষা, সেটির পূর্ণ বাস্তবায়ন থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে থেকে গেছি। বিশেষ করে, রাষ্ট্রের মৌলভিত্তি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, বৈষম্যহীন সমাজ অর্থাৎ যেখানে জনগণ অর্থনৈতিক উন্নতির সমগ্র সুফল পাবেন এবং জনগণের রাজনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে জবাবদিহি থাকবে- এই বিষয়গুলো এখনো অনেকটাই অপূর্ণ থেকে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে, মুক্তিযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা, উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল- এখন প্রয়োজন সেগুলো আমরা কীভাবে বাস্তবায়িত করতে পারি। মুক্তিযুদ্ধের পরের প্রজন্ম এই লক্ষ্যগুলো পূরণে কী কী কাজ করতে পারে।আজকের সমাজে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষার তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করলে এ কথা বলতেই হবে যে মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষাকে সঠিকভাবে অনুধাবন করার মাধ্যমেই কেবল সেটি বাস্তবায়নের পথে অগ্রসর হওয়া সম্ভব। মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য অনুযায়ী সমাজ ও রাষ্ট্রের সামগ্রিক পরিবর্তনের জন্য তাই এই মুক্তিযুদ্ধ চর্চার বিকল্প নেই। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন মহান বিজয় দিবস। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেওয়ার দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা, ৬৯’র গণঅভ্যুত্থান, ১৯৭১-এর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫শে মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, ১৭ই এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহিদ ও দু’লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের এই দিনে বিকেলে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের ফসল আমাদের স্বাধীনতা। সেই সাথে নব নব প্রত্যাশার নানা দিগন্তও উন্মোচিত হয় সমাজ-রাষ্ট্রে।
বিজয় দিবসের এই দিনে বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক ঐতিহাসিক সামরিক বিজয় অর্জন করে। পাকিস্তানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সেদিন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিপূর্ণ হয়। নিজ ভূখণ্ডে পূর্ণ দখলদারিত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিশ্বের দরবারে আবারো স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পর নয় মাসের যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন হওয়া সেদিনের বাংলাদেশের সাথে আজকের বাংলাদেশের রয়েছে বিস্তর তফাৎ। যুদ্ধবিধ্বস্ত হতদরিদ্র অবস্থা থেকে অর্ধশতাব্দী পরে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। বেড়েছে শিক্ষার হার, গড়ে উঠেছে ব্যবসা বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান। অধিকাংশ অবকাঠামো যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধেরও ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।
আজকের প্রজন্মের অধিকাংশের কাছে স্বাধীনতা শুধুই ইতিহাস। তার বিপরীতে পূর্ববর্তী প্রজন্ম পরাধীন ও স্বাধীন দু’টি সময়ই পার করেছে। তাই দৃষ্টিভঙ্গিগত জায়গা থেকেও দুটি প্রজন্মের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম বেশ কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য মাথায় রেখে পরিচালিত হয়েছে। শুধু পাকিস্তানের থেকে মুক্ত হওয়াই স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য ছিল না। একটি শোষণহীন ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠাই ছিল পুরো সংগ্রামের মূল উদ্দেশ্য। পাকিস্তানের থেকে স্বাধীন হওয়া ছিল তার একটি অংশ মাত্র। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই ’৭২ সালে প্রণীত স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের দিকে তাকালে। সুস্পষ্টভাবে জাতীয় ৪টি মূলনীতিতে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচারের সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের পেছনের দর্শনের স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। একই সাথে, বাঙালি জাতীয়তাবাদের উল্লেখের মাধ্যমে আমাদের জাতিগত ঐক্যের ভিত্তি স্থাপন করা হয়। একটি ধর্মনিরপেক্ষ,গণতান্ত্রিক, শোষণবিহীন রাষ্ট্র বিনির্মাণই ছিল আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্তিম উদ্দেশ্য।
বাংলাদেশের ইতিহাস হলো স্বাধীনতা ও মুক্তির জন্য কোটি কোটি খেটে খাওয়া মানুষের সুদীর্ঘ লড়াইয়ের ইতিহাস। আজকের এই মুক্তি ও স্বাধীনতা বাঙালির দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন ও সাধনার ফসল। আজ স্বাধীনতা অর্জনের ৫২ বছরে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই বিজয় বার্ষিকীতে স্বভাবতই আমাদের মনে প্রশ্ন জাগে- যে স্বপ্ন ও প্রত্যাশা নিয়ে সেদিন বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে জীবন বিসর্জন দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তার কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে! বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করতে বিভিন্ন সময়ে নানাভাবে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে এবং তা এখনো চলমান।
হতদরিদ্র থেকে উন্নয়নের পথের অনুসন্ধানকালে আমরা খুঁজে পাই বিগত ৫২ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়নি তা বললে মিথ্যে বলা হবে। স্বাধীনতার প্রথম বছরগুলোতে বাংলাদেশ ছিল দারিদ্র্যপীড়িত, যুদ্ধবিদ্ধস্ত হতদরিদ্র একটি দেশ, না ছিল অবকাঠামো, না ছিল পর্যাপ্ত শিক্ষা, চিকিৎসা ও বাসস্থানের ব্যবস্থা। প্রবৃদ্ধির হার ছিল শূন্যের কোঠায়। দুর্নীতি ও তীব্র অরাজকতা অর্থনীতির ওপর চেপে বসেছিল। সেখান থেকে আজকের বাংলাদেশ অনেকটাই বেড়িয়ে এসেছে বলা যায়। কিন্তু প্রত্যাশিত মানে ও মাত্রায় পৌঁছেছে কি-না সেটা নিয়ে ভাবনার অবকাশ রয়েছে বলে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ মনে করেন।
ভবিষ্যতের পথের দিকে তাকালে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশকে স্বাধীনতা সংগ্রামের লক্ষ্যে গড়ে তুলতে হলে প্রথমেই এদেশের বাঙালি জাতীয়তা, সংস্কৃতি ও ভিন্নমতকে স্বীকার করতে হবে। কারণ এই জাতীয়তা ও সংস্কৃতিকে পাকিস্তানের আঘাত থেকে বাঁচানোর জন্যই ধর্ম-মত নির্বিশেষে সবাই সংগ্রামে অংশ নিয়েছিল। তখনকার সকল অর্জন জাতীয় অর্জন ও সকল ত্যাগ জাতীয় ত্যাগ। এদেশটা এই ভূখণ্ডে জন্ম নেওয়া ও বাস করা আমাদের সবার। একই সাথে পাহাড়ে বসবাসরত আদিবাসী জনগোষ্ঠীও আমাদের সামষ্টিক সংগ্রামের অংশীদার। তাদের ওপরও জোর করে কিছু চাপিয়ে দেয়া যাবে না। প্রত্যেকের নিজ নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতি পালনের যথাযথ অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার প্রতিষ্ঠা করাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। সামাজিক সহাবস্থান নিশ্চিত করতে না পারলে অসাম্প্রদায়িক, শোষণহীন বাংলাদেশ নির্মাণ অসম্ভব।
মুক্তিযুদ্ধে আমাদের প্রত্যাশা ছিল বৈষম্য এবং শোষণহীন একটি স্বাধীন দেশ যেখানে সকলের গণতান্ত্রিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার থাকবে। আশা করছি ভবিষ্যৎ বিজয় দিবসগুলোতে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রামের আদলে গড়া একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ দেখতে পাব। হাজারও প্রতিবন্ধকতার মাঝেও আমরা আশাবাদী হতে চাই। চমকপ্রদ অর্জনের কথাও জেনেছি। সেই সাথে দুর্নীতির দৈত্যকে পুরোপুরি নিধন করা না গেলেও এই দৈত্যের হাত পা ভেঙে এক ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং এই অর্জনগুলো বাংলাদেশের শ্রমিক, কৃষক, নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, মেহনতি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে যাবে- এটাই হলো গভীর আশাবাদের জায়গা। এজন্য সকলের অংশীদারিত্বমূলক সক্রিয় আন্তরিক সততা ও কর্মনিষ্ঠা জরুরি। বিজয় দিবসের বাসনা হোক এটাই।
আবদুল্লাহ আল মোহন: লেখক, গবেষক ও সহকারী অধ্যাপক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি ভাসানটেক কলেজ, ঢাকা
মন্তব্য করুন