নাশকতার চক্রান্তে জড়িত হেফাজত ও চরমোনাই পীর: ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি

বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন বলেছেন, ‘হেফাজত ও চরমোনাই পীরের সিন্ডিকেট ইসলামের নামে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নাশকতার চক্রান্তে জড়িত হয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।’
রবিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
মাওলানা মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের আগে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে দেশবিরোধী চক্রের ইন্ধনে হেফাজত ও চরমোনাই পীর দেশ অস্থিতিশীল করতে চায়। যার কারণে বিতর্কিত রিসোর্ট হুজুর মামুনুল হককে নিয়ে এতদিন যারা চুপ ছিলেন হঠাৎ করে তার মুক্তির দাবিতে ২৯ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। আশঙ্কা করছি, বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের জন্য অরাজনৈতিক দাবিদার হেফাজত নির্বাচনের আগে এ ঘোষণা দিয়েছে। হেফাজতের কোন কোন নেতা এ ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘চরমোনাই পীর হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশ থেকে অনেক টাকা এনেছেন। এ ব্যাপারে দুদকের তদন্তের জোর দাবি জানাই। চরমোনাই পীর হয় রাজনীতি করবেন নতুবা পীরের কাজ করবেন। তিনি চড়েন বিএমডব্লিউ গাড়িতে। এই গাড়ি কোথায় পেলেন। তার রয়েছে নামে বেনামে অনেক অবৈধ সম্পত্তি।’
এগুলো খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।’
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ‘কিছুদিন আগেও জজ কোর্টসহ দেশের বিভিন্ন আদালতে বোমা মারা হয়েছে। ২০০৫ সালে ৬৩ জেলায় যে সিরিজ বোমা হামলা হয়েছিল তারই একটি নমুনা এটি। জাতীয় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য হেফাজত, চরমোনাই পীর ও মামুনুল হক গং বিচার বিভাগ ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে আবারো এমন বোমা হামলা করার পরিকল্পনা করছে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। তাই অনতিবিলম্বে এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। হেফাজতের মুখোশ পরা মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক কয়েক বছর আগে নারায়ণগঞ্জের একটি রিসোর্টে নারী নিয়ে ধরা খেয়ে কারাগারে। তারা ইসলাম হেফাজতের নামে কী চালাচ্ছে দেশে এর সঠিক তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা শাহ মোহাম্মদ ওমর ফারুক, মাওলানা মহিউদ্দিন ফারুকি, ড. মোশাররফ হোসেন, ক্বারি মো. আব্দুল মান্নান, মুফতি শাহাবুদ্দিন ভূইয়া, ক্বারি মো. আলী হায়দার, হারুন অর রশিদ মিরুন, পীর আবুল খায়ের মো. ওহিদী প্রমুখ।
(ঢাকাটাইমস/১৭ডিসেম্বর/এমএইচ/এফএ)

মন্তব্য করুন