ভোট হয়েছে রাত ৩টায়, রংপুরে বললেন কৃষক লীগ নেতা বিশ্বনাথ সরকার বিটু

রংপুর ব্যুরো, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:১৬ | প্রকাশিত : ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৫

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ করে আসছেন নির্বাচনে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের শরিক দলের প্রার্থীরা। এবার ভোট নিয়ে বড়সড় অভিযোগ তুললেন নির্বাচনে পরাজিত হওয়া কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের এক নেতা।

রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার ওরফে বিটুর অভিযোগ, নির্বাচনে তাকে জোর করে পরাজিত করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে রাত ৩টার দিকেই সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকরা। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে এই প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিটুর কর্মীরা।

নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর শনিবার বিকালে বদরগঞ্জের মোস্তফাপুর সরকারপাড়া গ্রামে বিটুর বাড়িতে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে এসব অভিযোগ আনা হয়। বদরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজার রহমানের সভাপতিত্বে কর্মী সমাবেশে বিভিন্ন এলাকার কর্মীরাও বক্তব্য দেন।

বিশ্বনাথ সরকার ট্রাক প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক ওরফে ডিউক চৌধুরী। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত ফলাফলে নৌকা প্রতীকে তিনি ৮১ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিশ্বনাথ সরকার পান ৬১ হাজার ৫৮৩ ভোট। আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী আনিছুল ইসলাম ২৪ হাজার ৬৪০ ভোট পেয়েছেন।

কর্মী সমাবেশে বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘আমরা পরাজিত হইনি। জোর করে আমাকে পরাজিত করা হয়েছে। প্রশাসন কথা রাখেনি। আমাদের ভোট হয়েছে রাত ৩টার সময়।’

এই স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ‘দুপুরের দিকে অনেকেই আমাকে ভোট বর্জন করতে বলেছিল। আমি করিনি। কারণ, আমি আওয়ামী লীগ করি। কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের জয়েন্ট সেক্রেটারি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুগত সৈনিক। তার নির্দেশনার বাইরে আমি কখনো কাজ করব না। তাই সবকিছু জেনে-বুঝেও ভোট বর্জন করিনি।’

নিজের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার বিষয়ে বিশ্বনাথ সরকার বলেন, ‘সব কর্মীর দায়ভার নিয়ে বলছি, যেকোনো কিছু মোকাবিলায় আমি বদ্ধপরিকর। এ ক্ষেত্রে কর্মীদের যেকোনো সমস্যায় পাশে আছি, থাকব।’

কর্মী সমাবেশে বদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটে ব্যাপক কারচুপিসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ট্রাক প্রতীকের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকা প্রতীকে সিল মারা হয়েছে। মধুপুরের ময়নাকুড়ি স্কুলের ভোটকেন্দ্রটি আমার এলাকায়। এই কেন্দ্রে ৩০০ ভোটারও ভোট দেননি। তবু সেখানে এক হাজার ৮০০ ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়েছে।’

ট্রাক প্রতীকের বদরগঞ্জের কর্মী মমিনুল হক বলেন, ‘বিশ্বনাথ সরকার জনগণের ভোটে এমপি নির্বাচিত হলেও রাষ্ট্রযন্ত্রের কাছে হেরেছেন।’

তারাগঞ্জের আলমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা নীরব কারচুপির কারণে হেরেছি।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশ্বনাথ সরকার ও তার কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগের বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজির হোসেন বলেন, রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনে স্বচ্ছ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :