সিদ্ধিরগঞ্জে পাড়া-মহল্লায় জমে উঠেছে পিঠার দোকান 

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:১২

বরাবরের মতো এবারও শীত পড়তেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের অলিগলিতে ভাসমান দোকান বসিয়ে পিঠা তৈরি করে তা বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। দোকানিরা চুলা থেকে পিঠা নামাতেই তা তড়িঘড়ি করে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা। বিকেল পেড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই ভিড় জমান নানা পেশার মানুষ।

সিদ্ধিরগঞ্জস্থ বিভিন্ন এলাকার পাড়া-মহল্লায় ঘুরে এমন দৃশ্যের দেখা মিলেছে।

প্রতি বছর দেশের অন্যান্য অঞ্চলের মতো এখানেও জীবন-জীবিকার তাগিদে ব্যবসায়ীরা এই ব্যবসা করেন। ভাসমান দোকান বসিয়ে তারা নানা ধরনের পিঠা তৈরি করে তা বিক্রি করেন।

শীতের মৌসুমে সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে ভাপা ও চিতই পিঠার। তবে, এ দুটি পদ বেশি চললেও আরও বহু রকমের পিঠা তৈরি করেন ব্যবসায়ীরা। সেগুলোর নাম: পাটিসাপটা,পুলি, নারকেলি, ফুল পিঠা, তেলের পিঠাসহ আরও কিছু আইটেম। এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার দাম বেড়েছে প্রতিটি পিঠার।

গেল মৌসুমে একেকটি ভাপা পিঠার দাম ছিল গড়ে ১০ টাকা। এবার পিঠাপ্রতি দাম বেড়ে ২০ টাকা হয়েছেন। চিতই পিঠা ৫ টাকার পরিবর্তে ১০ করে বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্যগুলিরও একই অবস্থা। কিন্তু এতে বিক্রি কমেনি দোকানিদের বরং হাড় কাঁপা শীতকে উপেক্ষা করে মানুষজন দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকছে স্বাদ নেওয়ার জন্যে।

ইতোমধ্যে কনকনে শীতের আভাস পড়েছে। ভোর সকাল এবং বিকেল পেড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই কনকনে শীত পড়ে। তাই কদর বেড়েছে পিঠার।

একাধিক দোকানির সঙ্গে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন বেচা বিক্রির কথা। তারা বলেন, পিঠা তৈরির সরঞ্জামের মূল্য বৃদ্ধি হবার কারণে এবার তারা দাম বাড়িয়েছে। পূর্বের মৌসুমেগুলোর তুলনায় এবার লভ্যাংশ কমেছে তাদের। তবে, ক্রেতার চাপ বেড়েছে।

চিটাগাংরোডের ভাসমান একটি দোকানে ভাপা পিঠার ক্রয়ের জন্য এসেছেন রহমতুল্লাহ। কথা হলে তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের জন্যে পিঠা ক্রয় করতে আশা তার। ৫টি পিঠার মূল্য রাখা হয়েছে ১০০ টাকা। তার ভাষ্য, প্রতি পিস ১৫ টাকা হলে ঠিক হতো।

সিদ্ধিরগঞ্জপুলস্থ একটি দোকানে ১৩ আইটেমের পিঠা তৈরি হয়। ওইখানে ভিড় জমানো ক্রেতারা জানান, অন্যান্য দোকানে ৩-৪টি আইটেম থাকলেও সেখানে বহু আইটেম থাকায় অধিকাংশ পিঠার স্বাদ নিতে আসেন। পছন্দ অনুযায়ী রুচিশীল পিঠা খাবেন তারা।

আদমজী-চাষাঢ়া সড়কের দুই নাম্বার বাসস্ট্যান্ডে সারিবদ্ধভাবে বসে চিতই আর ভাপা পিঠা বানায় নারী-পুরুষ। সেখানের ভিড় করা কয়েকজন চাকরিজীবী ক্রেতা বলেন, অফিস ছুটি শেষে প্রায় সময়ে বন্ধুরা একত্রিত হয়ে এখানে এসে পিঠান খান। পিঠা নিত্যদিনের খাবার না হলেও মৌসুমে স্বাদ নেওয়ার আগ্রহে যান।

(ঢাকাঢাইমস/১৬জানুয়ারি/প্রতিনিধি/জেডএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :