ফরিদপুর-১ আসনের মানুষের কল্যাণে, ভালো কাজে পাশে থাকার বার্তা দোলনের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:৩৩| আপডেট : ১৬ জানুয়ারি ২০২৪, ২৩:০০
অ- অ+

সব সময় মানুষের পাশে থাকার বার্তা দিলেন ফরিদপুর-১ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা আরিফুর রহমান দোলন।

দীর্ঘদিন ধরে ফরিদপুর-১ আসনের আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসা দোলন বলেন, ‘মানুষের কাছে, মানুষের পাশে আমি আছি, আমি ছিলাম, আমি থাকব ইনশাল্লাহ।’

মঙ্গলবার দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী এক কর্মী সমাবেশে একথা বলেন তিনি। সদর ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে জাটিগ্রাম পশ্চিমপাড়ায় এই সমাবেশ হয়।

এসময় নির্বাচনে বিপুল ভোট পাওয়ায় জনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে বিবাদে না জড়ানোর অনুরোধ জানান জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান দোলন।

প্রথিতযশা সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন জাতীয় দৈনিক ঢাকা টাইমস, ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডটকম ও সাপ্তাহিক এই সময় এর সম্পাদক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দোলন বলেন, সবাইকে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভালো থাকতে হবে। সময় আসবে…। আমি আপনাদের সবার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আপনারা যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন আমি চিরদিনের জন্য ঋণী হয়ে আছি। আমি যখনই সময়-সুযোগ পাব এই ঋণ শোধ করার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আমি সবসময় একটা কথা বলি, মানুষের কাছে, মানুষের পাশে আমি আছি, আমি ছিলাম, আমি থাকব ইনশাল্লাহ। সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন সবকিছুর মালিক।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অন্যের সঙ্গে বিবাদে না জড়ানোর আহ্বান জানিয়ে দোলন বলেন, কেউ আফসোস করবেন না। আফসোস করে বিরুদ্ধ মতের কারও সঙ্গে কেউ বিবাদে জড়াবেন না। গতকাল যিনি আপনার বিপক্ষে ছিলেন সে কিন্তু তার ভুল বুঝে আপনার এবং আমাদের সঙ্গে ভালো কাজে যুক্ত হতে পারেন। আমি আপনাদেরকে ধৈর্য ধারণ করতে বলব।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়া আরিফুর রহমান দোলন বলেন, আমি বলব যে, আমরা যেন আরও বিনয়ী হই। সৃষ্টিকর্তা যেমন ঔদ্ধত্য কাউকে পছন্দ করেন না, কোনো মানুষও ঔদ্ধত্য কাউকে পছন্দ করে না। কাউকে আমরা কটু কথা বলব না। যতক্ষণ পারব কেউ যদি কোনো কটু কথা বলে আমরা একটু সহ্য করব। যে বা যারা বলছে তারাও কিন্তু আমাদের ভাই-বন্ধু-স্বজন। হয়তো অতি উৎসাহে কেউ কেউ বলে ফেলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘৃণার চর্চা না করার আহ্বান জানিয়ে ফরিদপুরের এই জনপ্রিয় নেতা আরও বলেন, ফেসবুকে চাইলেই যা কিছু তাই লেখা যায়। আমরা সেটা করব না। আমরা সব সময় সতর্ক থাকব। আমরা ভালো কাজ করব। ভালো কাজ করে মন্দ কাজের জবাব দেব। আমরা অবশ্যই অন্যায়ের সঙ্গে থাকব না। অন্যায়ের প্রতিবাদ গঠনমূলক কাজের মধ্যেও করা যায়। আমাদেরকে সবচাইতে বেশি যেটা করতে হবে নিজেদের মধ্যে ঐক্য। নিজেদের মধ্যে কলহ-বিবাদ করা যাবে না। যত বেশি আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে থাকতে পারবো ততই আমাদের জন্য সেটা মঙ্গলজনক হয়ে উঠবে।

‘আজকের দিন এবং আগামীতে অবশ্যই আমরা যারা ভালো কাজ করব তাদের আমাদেরকে সব সময় মনে রাখতে হবে। ভালো কাজের কোনো বিকল্প নেই। আজ থেকে আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে পথ চলব। ভালো কাজে মাঝেমধ্যে একটু বেশি ত্যাগ করতে হয়। এটা কিন্তু করতে হবে’—যোগ করেন দোলন।

এসময় দোলন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা). এর আদর্শকে অনুসরণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা এখানে যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারী প্রিয়নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু (আ.) এর জীবনী দেখেন। ইসলামকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য তিনি জীবনে কী কষ্টটা যে করছেন। উনি তো এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ। সেই মানুষটাকে কষ্টের মাধ্যমে ইসলামটাকে সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হয়েছে। এর মধ্যে যে শিক্ষার বিষয়টা হলো ভালো কাজ করতে গেলে, ভালো ফল পেতে হলে কষ্টের কোনো বিকল্প নাই।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি। এই যে হাজার হাজার লাখ লাখ মানুষের ভালোবাসা পেলাম এটা তো আমি আগে বুঝি নাই। আমি অনেকের মনে দেখি কষ্ট। অনেকে কান্না করে। অনেকে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দিয়েছে। এ যেন ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। এই ভালোবাসাকে ধরে রেখে আগামীতে আমাদের পথ চলতে হবে। আমি যেন আপনাদেরকে ভালোবাসার প্রতিদান দিতে পারি। আরও বেশি করে সম্মান করতে পারি। ছোটদেরকে স্নেহ করতে পারি। আমি এজন্য আপনাদের দোয়া এবং আশীর্বাদ চাই। আমরা একটা জিনিস প্রমাণ করতে পেরেছি আমরা চাইলে অনেক কিছু করতে পারি।

ঢাকা টাইমস সম্পাদক বলেন, মানুষ ভুলত্রুটির ঊর্ধ্বে নয়। আমাদেরও কিছু ত্রুটি ছিল। ভবিষ্যতে যেন এই ত্রুটিবিচ্যুতি না হয় সেজন্যে আমরা মিলেমিশে থাকি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তাই আমরা বিজয় লাভ করেছিলাম। আজকে দেশের এতো উন্নয়ন এবং অগ্রগতি হচ্ছে তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। আমরা বিশ্বাস করি বিগত দিনগুলোতে শেখ হাসিনার কল্যাণে আমাদের যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হয়েছে আগামীতেও সেটা অব্যাহত থাকবে। বেশি করে আমরা উন্নতি ও উন্নয়নের ছোঁয়া পাব।

দোলন বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলেছি বঙ্গবন্ধু যে উদ্দেশ্যে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটি হলো একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। সেই দেশ গঠনে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে পরিশ্রম করেছেন আমরা যেন তাকে যোগ্য সহযোগিতা দিয়ে নিজেদের অঞ্চলকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারি।

ভবিষ্যতে সবাইকে নিয়েই চলবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের সমর্থন চাই। আগামীতে আমি যেন অন্যায়ের প্রতিবাদ আরও জোরালোভাবে করতে পারি। আপনাদের ওপর আসা আঘাত প্রতিরোধ করে আমি আপনাদের নিয়ে চলতে চাই। আমি আপনাদের দোয়া চাই। কোনো অশুভ শক্তি, কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের ঐক্যে ফাটল যেন না ধরাতে পারে। আমি আপনাদের দোয়া চাই। কোনো লোভ লালসা আমাদের মধ্যে যেন জেগে না বসে। আমরা ভোটের রাজনীতিতে যে কোনো অপশক্তিকে প্রতিহত করবো। আমরা প্রমাণ করবো জনতার শক্তি। জনতার ঐক্যর চাইতে বড় শক্তি আর কিছু নাই। সততা নিষ্ঠার বিজয় অবশ্যই হবে।

আলফাডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম আহাদুল হাসানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মরিশাস প্রবাসী ও ঈশান কামিনী কোম্পানি লিমিটেডের প্রোপ্রাইটর মো. আকাশ মিয়া।

এসময় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রবিউল সর্দার (নবু সর্দার), টগরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন, গোপালপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোনায়েম খান, উপজেলা কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল ইসলাম রানা, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক, জাটিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ওয়াহিদুজ্জামান মিয়া, বেজিডাঙ্গা কাজী আমেনা ওয়াহেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান মাসুদ মাস্টার, উপজেলা যুবলীগ নেতা মো. আশিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন পিকুল, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সৈয়দ শরিফুল ইসলাম সরফেজ মেম্বার, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মিয়া মো. সানোয়ার হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য রফিক মিয়া, আলফাডাঙ্গা সদর ইউনিয়ন যুগবলীগের সাধারণ সম্পাদক সজিব মিয়া, গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ মুস্তাফিজ, সদর ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি রাজ্জাক মোল্যা মেম্বার, ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম মিয়া, জাকির মিয়া ও সদর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নাহিদ রাজুসহ কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৬জানুয়ারি/এমএইচ/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ 
সাভারে রং মিস্ত্রিকে কুপিয়ে হত্যা
উত্তরায় দেশীয় অস্ত্রসহ তিন ডাকাত গ্রেপ্তার
তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া, আদালতকে জানাল রাষ্ট্রপক্ষ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা