ফরিদপুরে সূর্যমুখী চাষে বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা 

ফরিদপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৫:১৮
অ- অ+

এ যেন হলুদের গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে। কাছে গিয়ে দেখা মেলে হাজারো সূর্যমুখী ফুলের সমাহার। শীতের হিমবাতাসের দোল খেয়ে সবাইকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে সৌন্দর্য উপভোগ করতে।

এমন অপরূপ সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে দূরদূরান্ত থেকে আসা হাজারো প্রকৃতি প্রেমিকরা।

কেউ বন্ধুদের সঙ্গে আসছেন, কেউ বা আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে। ভালো লাগা স্মৃতি ধরে রাখতে নানা ভঙ্গিতে ক্যামেরায় বন্দি হচ্ছেন তারা।

এই মুনো মুগ্ধকর দৃশ্যটি ফরিদপুর শহর তলীর বদরপুর এলাকার বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ কেন্দ্রে। এখানে ৩ একর জায়গাজুড়ে বপন করা হয়েছে বারি সূর্যমুখী-২ জাতের ফুলের বীজ। ডিসেম্বরের শেষ ভাগ থেকে প্রতিটি গাছে ফুল ফুটতে শুরু হয়।

স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এর চাষ। ফরিদপুর বিএডিসির উৎপাদিত বীজ স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়।

বৈচিত্র্যময় কৃষির জেলা ফরিদপুর। এ জেলায় প্রায় সব ধরনের ফসল উৎপন্ন হয়ে থাকে। সে কারণেই ফরিদপুরে শুরু হয়েছে অধিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন সূর্যমুখী ফুলের চাষ। সূর্যমুখীর তেল কোলেস্টেরল মুক্ত প্রচুর পরিমাণে প্রাণশক্তি থাকায় সূর্যমুখী তেল আমাদের শরীরের দুর্বলতা, কার্যক্ষমতা বাড়াতে সূর্যমুখীর ভূমিকা অনন্য। যেকোনো তেলের চাইতে সূর্যমুখী তেল দশগুণ বেশি পুষ্টি সমৃদ্ধ। আর সে কারণেই ফরিদপুরে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ বলে জানালেন ফরিদপুরের সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন ।

ফরিদপুর জেলার নয়টি উপজেলায় পায় দুই শতাধিক কৃষক চলতি মৌসুমে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন। মাঠ জুড়ে হলুদ ফুলের সমারোহ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসছে দর্শনার্থীরাও। আর কৃষকেরা ভালো ফলন আশা করছেন।

গঙ্গাবন্দি এলাকার চাষি গিয়াজ উদ্দিন জানান, অন্য ফসলের চেয়ে খরচ কম, অধিক লাভ হওয়ার কারণে এই ফুলের চাষ করেছি। আর ফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা আগামীতে সূর্যমুখী ফুল চাষের আগ্রহ প্রকাশ করছেন অনেকেই।

ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে সারিবদ্ধভাবে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০ থেকে ১০০ দিনের মধ্যে ফসল তুলা যায়। সামান্য পরিমাণ রাসায়নিক সার ও দুই বার সেচ দিতে হয় এ ফসলে। প্রতি একর জমিতে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। আর এক একর জমির উৎপাদিত বীজ থেকে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। সূর্যমুখী গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।

দিন দিন চাষিরা সূর্যমুখী ফুলের চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে। এই তেলে কোনো ক্লোস্টোরিয়াল নেই, যে কারণে চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এটা অন্য ফসলের চেয়ে স্বল্প জীবন কাল ও লাভজনক। সে কারণেই সূর্যমুখী ফুল চাষ করে কৃষকেরা লাভবান হচ্ছেন বলে জানালেন জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সূর্যমুখীর তেলের মানবদেহের স্বাস্থ্য গুণ অনেক। যে কারণে ভোক্তাদের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে এই তেলে।

(ঢাকা টাইমস/১৯জানুয়ারি/প্রতিনিধি/এসএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
খালেদা জিয়াকে বরণ করতে প্রস্তুত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি: আমিনুল হক 
কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
রাজনৈতিক ঐকমত্য ছাড়া সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সম্ভব নয়: তথ্য উপদেষ্টা
‘স্বপ্ন নিয়ে’র উদ্যোগে আরও ২৫ জন পেলেন কৃত্রিম পা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা