সৃজিত কি তবে মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে সিনেমা বানাচ্ছেন?

ওপার বাংলার চলচ্চিত্র পরিচালকদের মধ্যে নিঃসন্দেহে এখন প্রথম সারিতে আসে সৃজিত মুখার্জীর নাম। তার সবশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘দশম অবতার’ ফাটিয়ে ব্যবসা করেছে। সেই সাফল্যের মাঝেই খবর, এবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে সিনেমা বানাবেন তিনি, তাও লোকসভা ভোটের আগে?
পশ্চিম বাংলার রাজনীতিতে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার নাম লেখা থাকবে সোনালি অক্ষরে। ‘ওয়ান ম্যান আর্মি’ কথাটা হয়তো তার সঙ্গেই খাপ খায়। নিজে একটি দল শুধু বানাননি, সেই দল নিয়ে লড়াই করে বামেদের ৩৪ বছরের রাজত্ব ভেঙে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রীর আসনে।
কিন্তু সত্যিই কি সেই মমতার বায়োপিক বানাচ্ছেন সৃজিত? এক সাক্ষাৎকারে সে কথা খোলসা করলেন সৃজিত। সৃজিতের কথায়, তিনি শুধু নিজের ভালোলাগার জন্য সিনেমা বানান। কারণ একেক দর্শকের পছন্দ একেক রকমের।
ছোটবেলা থেকে যেগুলো পড়ে এসেছেন পরিচালক, সেই ভালোলাগার জায়গাগুলোকে ফুটিয়ে তোলেন সিনেমার পর্দায়। ফেলুদা পড়তে ভালো লাগত তাই বানিয়েছেন দার্জিলিং জমজমাট-ছিন্নমস্তার অভিশাপ। বানিয়েছেন মিশর রহস্য, কাকাবাবুর প্রত্যাবর্তন। জুলিয়েট-সিজারকে ফুটিয়ে তুলেছেন জুলফিকারে।
ছোটবেলার ভালোলাগার উদযাপনেই সৃজিতের সিনেমা বানানো। এরপরই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে বায়োপিকের কথা উঠলে সৃজিত বলেন মমতার কথা। সঙ্গে জ্যোতি বসুরও নাম নেন তিনি, উঠে আসে চারু মজুমদারের নামও। সঙ্গে স্বগোক্তি করে বলেন, বায়োপিক বানানোর সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, সেখানে সব সত্যি দেখানো যায় না। কিছু অধ্যায় চেপে যেতে হয়।
এখন মমতার বায়োপিক বানাবেন কি না, তা তো ভবিষ্যতই বলে দেবে। তবে খুব শিগগির ওপার বাংলার কিংবদন্তি পরিচালক মৃণাল সেনের বায়োপিক আনছেন পর্দায়। সেখানে মৃণাল সেনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
সেই কথাও আসে পরিচালকের মুখে। বলেন, ‘আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে কুণাল দা, মৃণাল সেনের ছেলে আমাকে বলেছে যে উনি খুব বিখ্যাত মানুষ ছিলেন ঠিকই কিন্তু ওকে ভগবান বানিও না। তোমার যদি পড়ে মনে হয় ওনার কোনো কিছু খারাপ ছিল সেটাও দেখিও। আমি তাই করেছি আমার সিনেমায়। এই স্বাধীনতাটা আমি উপভোগ করেছি।’
সবশেষে সৃজিত জানান, তিনি নিজের সিনেমা বানানোর সময়ে এমন পরিবেশ চান, যেখানে শেষ বক্তব্য থাকবে তারই। চিত্রনাট্যে কী থাকবে বা না থাকবে, কেউ তাতে নাক গলাবে না। তাই বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতার বায়োপিক বানানোর প্রস্তাব তার কাছে এলেও, হাতে নেননি সৃজিত।
(ঢাকাটাইমস/০৬ফেব্রুয়ারি/এজে)

মন্তব্য করুন