বিয়ের নাটক সাজিয়ে প্রতারণা, স্ত্রীর দাবিতে প্রেমিকার অনশন

মাদারীপুর প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৭ | প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২০:০৫

মাদারীপুর সদরে বিয়ের নাটক সাজিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক নার্সিং শিক্ষার্থীকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে মেহেদী হাসান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। তিনি সদর উপজেলার চর গোবিন্দপুর গ্রামের প্রেজা মিয়া শিকদারের ছেলে। ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী স্ত্রীর মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে অনশন করছেন কথিত ওই প্রেমিকের বাড়িতে।

বুধবার বিকালে প্রেমিক মেহেদী হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী। স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার হুমকিও দিয়েছেন তিনি।

জানা যায়, মেহেদী হাসান প্রথমে ফেক্সিলোডের দোকান থেকে ওই শিক্ষার্থীর মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেছেন। পরে মোবাইলে কল দিয়ে শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে প্রলোভন দেখিয়ে মিথ্যে বিয়ের নাটক সাজিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন। কিছুদিন পর মেহেদী সেই সম্পর্ক অস্বীকার করেন।

ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

তবে ওই শিক্ষার্থীকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।

বুধবার বিকালে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, নার্সিং পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থী (২০) মেহেদী হাসানের বাড়িতে অনশন করছেন।

গত জানুয়ারি শিক্ষার্থীকে কল করে শহরে ডেকে এনে মিথ্যে বিয়ের নাটক সাজিয়ে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে মেহিদীর বিরুদ্ধে। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে গিয়েও মেয়েটির সঙ্গে সময় কাটায় অভিযুক্ত। পরে নির্যাতিতা বুঝতে পারে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি মেহেদীর পরিবার এলাকার মুরব্বিদের জানালেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে বুধবার সকালে স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

এদিকে প্রেমিকার অনশনের খবরে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে মেহেদী। তবে ঘটনার কোনো সত্যতা পাননি বলে দাবি করেছেন অভিযুক্তের চাচাতো ভাই খোকন শিকদার। তিনি বলেন, ‘আমার চাচাতো ভাই ঘটনার পর থেকে বাড়িতে নেই। যদি মেয়েকে সে বিয়ে করে থাকে তাহলে অবশ্যই তাকে স্ত্রীর মর্যাদা নিয়ে ঘরে তুলতে হবে। আর যদি বিয়ে না করে থাকে তাহলে কেন আমাদের বাড়ির মান মর্যাদা হানি করলো, তারও কঠোর বিচার করা হবে।

এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ সুপার মো মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ‘যদি ভুক্তভোগীর শ্লীলতাহানি করে থাকে তাহেল ওই ছেলেকে আইনের আওতায় আনা হবে। যদি সে বিয়ে করে তাহলে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে হবে। আমি পুলিশ পাঠাবো, যদি অন্যায় করা হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে দোষীকে আটক করা হবে।’

(ঢাকাটাইমস/১৪ফেব্রুয়ারি/প্রতিনিধি/পিএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :