দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের মধ্যেই বেড়েছে মূল্যস্ফীতি, তিন মাসে সর্বোচ্চ জানুয়ারিতে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১১:৫২ | প্রকাশিত : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:১০

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশের মধ্যেই বেড়েছে মূল্য মূল্যস্ফীতি। গত জানুয়ারি মাসে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে উঠেছে, গত অক্টোবরের পর যা সর্বোচ্চ।

গত বছরের অক্টোবরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এরপর নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমলেও জানুয়ারিতে তা আবার বেড়েছে। শহর ও গ্রাম—উভয় ক্ষেত্রেই মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বা বিবিএস।

গত ১৫ জানুয়ারি বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেন।

ওইদিন বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী তার তরফ থেকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জোর দেন মুদ্রাস্ফীতি বা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের প্রতি। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) মুদ্রাস্ফীতি বা দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতি নির্দেশ দেন।”

এর আগে ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, “মূল্যস্ফীতি, নিত্য পণ্যের বাজার, আমদানি পণ্যের আমদানি নিরবচ্ছিন্ন রাখা, গার্মেন্টেস রপ্তানি, বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবস্থাপনা, ব্যাংক তারল্য, টাকা পাচার রোধ, গ্যাস সরবরাহ, টাকার বিপরীতে মার্কিন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে সরকার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে।”

“সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে শিগগিরই মূল্যস্ফীতি কমে আসবে” বলে আশা প্রকাশ করেন সংসদ নেতা শেখ হাসিনা।

বিবিএসের সব শেষ তথ্য বলছে, গত জানুয়ারি মাসে গ্রামের চেয়ে শহরে মূল্যস্ফীতির চাপ ছিল বেশি। গ্রামে যেখানে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ, শহরে তা ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অর্থাৎ শহরাঞ্চলে এখন মূল্যস্ফীতি বেড়ে দুই অঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

বিবিএসের প্রতিবেদন বলছে, জানুয়ারিতে খাদ্যবহির্ভূত কোনো খাতে মূল্যস্ফীতি কমেনি। অন্য প্রায় সব খাতে আগের দুই মাস (নভেম্বর-ডিসেম্বর) মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও জানুয়ারিতে তা বেড়েছে। এ মাসে সাধারণ মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশে উঠেছে, নভেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ ছিল।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৭ জানুয়ারি ঘোষিত মুদ্রানীতিতে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমানো চলতি বছরের জানুয়ারি-জুনের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য হলেও নীতি সুদহারের পাশাপাশি বাণিজ্যিক ব্যাংকে ঋণের সুদহার বৃদ্ধির পরও মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী।

বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য কিছুটা কমেছে। অনেক দেশেই ক্রমান্বয়ে মূল্যস্ফীতি কমছে। শীতের মৌসুমে সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ বেশি থাকায় এ সময় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কম থাকে। তবে বাজারের চিত্র এর উল্টো।

এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেছেন, “খাদ্যবহির্ভূত খাতে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে স্বাস্থ্যসেবা খাতে।”

ওষুধসহ মানুষের চিকিৎসা ব্যয় বেড়ে যাওয়া এর একটি বড় কারণ বলে মনে করেন তিনি।

মূল্যস্ফীতির চাপে দরিদ্র ও মধ্যবিত্তরা সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমনিতে বাজারে দ্রব্যমূল্য বেশ চড়া। এর সঙ্গে চিকিৎসা, পরিবহনসহ খাদ্যবহির্ভূত খাতেও খরচ বেড়েছে। সব মিলিয়ে মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে গিয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবন।

(ঢাকাটাইমস/১৬ফেব্রুয়ারি/এফএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এক হাজার টাকা কৃষিঋণে কেউ জেলে, ১০ হাজার কোটি টাকার ঋণখেলাপি সরকারের পাশে: ফরাসউদ্দিন

টানা অষ্টমবার কমলো স্বর্ণের দাম

বিএইচবিএফসিতে নতুন ডিএমডি এবং জিএমের যোগদান

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের BAMLCO সম্মেলন অনুষ্ঠিত 

  ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স গ্রহণ করে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল 

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের অফিসারদের নিয়ে ‘রিফ্রেশার্স ট্রেইনিং কোর্স’ অনুষ্ঠিত

শ্রমজীবী মানুষের মাঝে ‘ব্যাংকার্স ওয়েলফেয়ার ক্লাব’ এর পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ 

এপ্রিলে প্রবাসী আয় ১৯০ কোটি ডলার

ব্যাংক এশিয়ার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

এনআরবিসি ব্যাংকের ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের সুপারিশ 

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :