স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে গেইলকে টপকে বাবর আজমের বিশ্বরেকর্ড

স্বীকৃতি টি-টোয়েন্টির প্রায় সব রেকর্ডই ক্রিস গেইলের দখলে। তার একটি এবার নিজের করে নিলেন পাকিস্তানের বাবর আজম। গেইলের রেকর্ড ভেঙে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুত ১০ হাজার রানের মালিক হলেন তিনি। চলমান পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ষষ্ঠ ম্যাচে করাচি কিংসের বিপক্ষে ৫১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলার পথে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ১০ হাজার রান পূর্ণ করেন পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলতে নামা বাবর।
টি-টোয়েন্টিতে ২৭১ ইনিংসে ১০ হাজার রান পূর্ণ করলেন বাবর। ২৮৫ ইনিংসে ১০ হাজার রান করে এতদিন এ রেকর্ডের মালিক ছিলেন গেইল। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে আছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২৯৯ ইনিংসে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি।
বিশ্বের ১৩তম ও পাকিস্তানের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ১০ হাজার রান করলেন বাবর। পাকিস্তানের হয়ে প্রথম ১০ হাজার রান করেন শোয়েব মালিক। ৫৩৩ ম্যাচের ৪৯৪ ইনিংসে ১৩১৫৯ রান আছে মালিকের। ২৮১ ম্যাচের ২৭১ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরি ও ৮৪টি অর্ধশতকে বাবরের রান এখন ১০ হাজার ৬৬।
টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক ইউনিভার্স বস গেইল। ৪৬৩ ম্যাচের ৪৫৫ ইনিংসে ২২টি সেঞ্চুরি ও ৮৮টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১৪ হাজার ৫৬২ রান করেছেন তিনি।
৯ হাজার ৯৯৪ রান নিয়ে পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলতে নামেন বাবর। ইনিংস শুরু করে অষ্টাদশ ওভারে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তিনি দলের স্কোর ১৪৭ রেখে। পেশাওয়ার এক বল বাকি থাকতে অল আউট হয় ১৫৪ রানে।
বাবর ছাড়া দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল দুজন। রভম্যান পাওয়েল ২৫ বলে ৩৯ ও আসিফ আলি ১৬ বলে করেন ২৩ রান।
বিপিএলে রংপুর রাইডার্সের হয়ে দারুণ পারফর্ম করে দেশে পিএসএল খেলতে যান বাবর। প্রথম ম্যাচে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৪২ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। ২০৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ওই ম্যাচে ১৬ রানে হেরে যায় তার দল। পরের ম্যাচেও তার ব্যাট থেকে এলো পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস।
এই সংস্করণে এটি তার ৮৪তম ফিফটি। সেঞ্চুরি আছে ১০টি, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২২ সেঞ্চুরি নিয়ে এখানে চূড়ায় গেইল।
পাকিস্তান জাতীয় দলসহ এখন পর্যন্ত মোট ১৯টি দলের হয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন বাবর।
(ঢাকাটাইমস/২২ ফেব্রুয়ারি/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন