ভেদাভেদ ভুলে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে: মান্না

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
 | প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ২১:৫৭

সরকার পতনের আন্দোলনে আর্দশগত ভেদাভেদ ভুলে সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহামুদুর রহমান মান্না।

সবাইকে জোটবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ৭ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। ৯৫ ভাগ মানুষ ভোট দেয়নি। এবার নির্বাচনের পর সরকারের ওপর থেকে দেশ-বিদেশের শ্রদ্ধা চলে গেছে। মানুষ আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চায়। যার যার দলের আদর্শ মেনেই জোটবদ্ধ হন, নিজেরা নিজেদের মতো আন্দোলন চালিয়ে যান। সবাই মিলে সরকার হটাতে পারলে একটা অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।

রবিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশকে বহুমুখী সংকট থেকে উত্তোরণ, সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মাহমুদুল হকসহ কারাবন্দী জাতীয় নেতাদের মুক্তি ও পাঠ্য পুস্তক থেকে বিতর্কিত লেখা বাতিলের দাবিতে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

এসময় মান্না বলেন, এক দফার আন্দোলন এখনো জীবিত। ২০১৮ সালের পর রাতে ভোটডাকাতির পর কোনো প্রতিবাদ করতে পারিনি। কিন্তু এবার ৭ জানুয়ারি আগে থেকে এখন পর্যন্ত আমরা রাজপথে আছি। এই সরকারের পতন খুব সামনে। এরা রিজার্ভ বাড়াতে পারবে না, এলসি খুলতে পারবে না, দ্রব্যমূল্য কমাতে পারবে না। কারণ এরাই সিন্ডিকেট, আর সিন্ডিকেটই সরকার।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অথচ দোষ চাপাচ্ছে বিএনপির ওপর। দেশের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংস করে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করা হয়েছে। আগামী দিনে রাজপথের আন্দোলন আরও জোরালো হবে।

গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেন, আজ বাংলাদেশে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে ভারতীয় আধিপত্য। আর সহায়তা করছে শেখ হাসিনা সরকার। ধীরে ধীরে বাংলাদেশকে ভারতের ওপর নির্ভরশীল করে ফেলা হয়েছে। আজকে নারকেল, কচুর মুখিও ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহ ছিল একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত একটা নিরপেক্ষ তদন্ত হয়নি, কোনো তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েব আমির ইউসুফ আশরাফ বলেন, মওলানা মামুনুল হকসহ সব রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তি দিতে হবে। না হলে আমরা রাজপথে আন্দোলন মাধ্যমে দাবি আদায় করবো।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব আতাউল্লাহ আমিনীর সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) এর সভাপতি ববি হাজ্জাজ, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, এবি পার্টির যুগ্ন আহবায়ক এ্যাড. তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মাহমুদুল হক, মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলালী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবু সাঈদ নোমান প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২৫ফেব্রুয়ারি/এমআই/এসআইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :