ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচন: মেয়র প্রার্থী টিটুর সম্পদ প্রায় ৩১ কোটি টাকা

নগদ ও সম্পদ মিলে ৩০ কোটি ৭৩ লাখ ১১ হাজার টাকার মালিক ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু। তার ধারেকাছেও নেই অন্য চার প্রার্থী।
মেয়র প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
দাখিল করা হলফনামা অনুযায়ী টেবিল ঘড়ি প্রতীকের প্রার্থী ইকরামুল হক টিটুর নগদ রয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। ব্যাংকে ৭ কোটি ৭৬ লাখ ৪ হাজার টাকা, কোম্পানির শেয়ার রয়েছে ৯ কোটি ৫৬ লাখ ৬২ হাজার টাকার, স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে ১২ লাখ ১৯ হাজার টাকা। যানবাহনের মূল্য ২৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। স্বর্ণ আছে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী আছে ৪ লাখ টাকা, আসবাবপত্র আছে ২ লাখ টাকার। অংশীদারি ব্যবসায় রয়েছে ৯১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা। শেয়ার মূলধন আয় ২ কোটি ৮৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
এ ছাড়া কৃষিজমি ৭৩৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, যার মূল্য ধরা হয়েছে ৪৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা। অকৃষিজমির মূল্য ধরা হয়েছে ২ কোটি ৯২ লাখ ২৩ হাজার টাকা। নিজ নামে দালানের মূল্য ধরা হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা। সবমিলিয়ে তিনি ৩০ কোটি ৭৩ লাখ ১১ হাজার টাকার মালিক।
তবে ঋণও আছে তার। এর মধ্যে পদ্মা ব্যাংকে দেনা দেখিয়েছেন ২ কোটি ৬২ লাখ ২২ হাজার টাকা এবং অন্যান্য দেনা দেখিয়েছেন ৭৫ লাখ ৯৩ হাজার টাকা।
এদিকে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের নগদ রয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা। দুটি বাস-ট্রাকের মূল্য দেখিয়েছেন ৬৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ইলেকট্রনিকস সামগ্রী ৫০ হাজার টাকা ও আসবাবপত্রের মূল্য দেখিয়েছেন ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া একটি চার তলা বাড়ির মূল্য দেখিয়েছেন ১৮ লাখ টাকা। বাড়ি ভাড়া বাবদ আয় ২ লাখ ৭০ হাজার এবং ব্যবসা থেকে আয় ৪ লাখ টাকা। এ ছাড়া নির্ভরশীলদের চাকরি থেকে আয় দেখানো হয়েছে ৫ লাখ ২১ হাজার টাকা। তবে গাড়ি কেনায় ঋণ দেখিয়েছেন ৫৪ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
হাতি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাদেকুল হক খান মিল্কী টজুর নগ রয়েছে ৯৪ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা আছে ৯৭ হাজার টাকা এবং নিজের ১০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে। ইলেকট্রনিকস সামগ্রীর মূল্য ১ লাখ ও আসবাবের মূল্য ১ লাখ টাকা দেখিয়েছেন। এ ছাড়া অকৃষিজমি রয়েছে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ, যার মূল্য তিনি জানেন না বলে উল্লেখ করেছেন। বাড়ি ভাড়া থেকে আয় ৯০ হাজার টাকা, শিক্ষকতা, চিকিৎসা এবং আইন পেশা থেকে ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও জমি বিক্রি থেকে ৮৮ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আয় দেখিয়েছেন।
হরিণ প্রতীক নিয়ে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সদস্য কৃষিবিদ ড. রেজাউল হক লড়াই করছেন। পিএইচডি করার পাশাপাশি তিনি আইনজ্ঞও। তার কাছে নগদ আছে ১৭ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। আছে বৈবাহিক সূত্রে পাওয়া ৩০ ভরি স্বর্ণ। এছাড়া অকৃষিজমি রয়েছে ৫৫ শতাংশ। শিক্ষকতা, চিকিৎসা ও আইন পেশায় তার আয় দেখানো হয়েছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডলের নগদ ৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এছাড়া ব্যবসায় বিনিয়োগ আছে ৩ লাখ টাকা।
(ঢাকাটাইমস/২৮ফেব্রুয়ারি/পিএস)

মন্তব্য করুন