চাঁদা না দেওয়ায় পল্লবীতে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ
৫০ হাজার চাঁদার টাকা না দেওয়ায় রাজধানীর পল্লবী থানা এলাকার নিউ সুপার মার্কেটের এক ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠছে।
জানা গেছে, স্থানীয় সাংসদের ছেলে পরিচয়ে ইমতিয়াজ হোসেন রকি নামে এক নেতা পল্লবীর নিউ সোসাইটি মার্কেট পরিচালনা কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. খলিলের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে সময় বেঁধে দেন। সময়মতো চাঁদার টাকা না দেয়ায় শুক্রবার বিকালে মার্কেটের সামনে খলিলকে মারধর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকালে ইমতিয়াজ হোসেন রকি, জাহিদ, রাসেল ও সজল ব্যবসায়ী খলিলের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। এক পর্যায়ে রকি স্থানীয় সাংসদের বরাত দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন।
নিউ সোসাইটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় এক সাংসদের ছেলে পরিচয়ে রকি ও স্থানীয় কাউন্সিলরের ছোট ভাই সজল দীর্ঘ দিন ধরে মার্কেটের ৯টি দোকান দখলের চেষ্টা করছেন। প্রথমে মার্কেটের পেছনে মাঠ করার কথা বলে দোকান বন্ধ রেখেছিলেন। নির্বাচনের আগে দোকানের জায়গায় নির্বাচনি ক্যাম্প করে রেখেছিলেন। এরপর রকিকে অ্যাডভান্স ও ভাড়া না দিলে সেখানে কেউ দোকান করতে পারবে না এমন হুমকি দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের। বিষয়টি এর আগে সাংসদের দলীয় কার্যালয়ে সমাধান করা হয়েছিল।
মারধরের শিকার ব্যবসায়ী মো. খলিল বলেন, সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা নির্দেশনা দেয়ার পরও রকি দফায় দফায় দোকান নির্মাণের কাজে বাধা দিয়েছে। গতকাল এসে বলেছিল দোকানের কাজ শেষ করার আগে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। আমরা ক'দিন সময় চেয়েছিলাম সেটাও দেয়নি। সময় মতো টাকা না পাওয়ায় রকি ও তার সাথে থাকা রাসেল ও জাহিদ আমাকে মারধর করেছে।
তিনি আরও বলেন, মারধরের বিষয়ে থানায় মামলা করতে গেলে অপরাধীরা প্রভাবশালী হওয়ায় পল্লবী থানা পুলিশ মামলা গ্রহণ করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইমতিয়াজ হোসেন রকি বলেন, খলিল আমার নাম বলে দোকানিদের কাছে টাকা চেয়েছিল। এজন্যই তাকে এভাবে মেরেছি। তাকে মারার জন্য এমপির কোনো নির্দেশ ছিল কিনা তা জানতে তিনি বলেন, না এমপির কোনো নির্দেশ ছিল না। আমি সেটা রাগে বলেছি।
গতকাল পুলিশ ও পল্লবী থানার ওসির কথা বলে মার্কেট কমিটির কাছে টাকা নিয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রকি বলেন, পুলিশ এসেছিল কাজ বন্ধ করতে। টাকা নিয়ে আমি তাদের চা নাস্তা খাইয়ে বিদায় দিয়েছি মাত্র।
(ঢাকাটাইমস/০৮মার্চ/এইচএম/ইএস)