‘কুমার নদ রক্ষায় মাস্টার প্ল্যান করে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে’
ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেছেন, ফরিদপুরে দুই পাড়ে দুটি বড় বাজারের যাবতীয় বর্জ্য ফেলা হচ্ছে কুমার নদে। শহরের বুকে বয়ে চলা পৌরসভার ড্রেনগুলোর নিষ্কাশন মুখ এই নদীতে মিশেছে। ফলে যাবতীয় মারাত্মক দূষিত পানীয় বর্জ্য এসে নদীতে পড়ছে। আর নদীর দুইপাড়ের জমি দখল করে অনেকে পাকা বাড়িঘর, দোকানপাট গড়ে তুলেছে। এক বছর আগে কুমার নদ রক্ষা অভিযান শুরুর পরেও এখনও চলছে এই দখল-দূষণ। কিন্তু শহর ফরিদপুরকে বাঁচাতে হলে কুমার নদকে বাঁচাতেই হবে। রবিবার সকালে ‘বিশ্ব পানি দিবস’ উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে দিবসটি উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে একটি র্যালি বের করা হয়।
আলোচনা সভায় ফরিদপুরের পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, মধুমতি ও কুমার নদের নাব্যতা রক্ষা সহ অবৈধভাবে বালি উত্তোলন সহ শহরের উপকন্ঠে সিএন্ডবি ঘাটের পাশে ধলার মোড় সংলগ্ন পদ্মা নদীর সাথে কুমার নদের উৎসমুখে ভরাট ও নির্মাণের পরে এক বছর ধরে পড়ে থাকা ১৭৬ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয়ে নির্মিত মদনখালী সুইসগেটটি অকার্যকর হয়ে পড়ে থাকার বিষয়টিও আলোচনায় উঠে আসে।
জেলা প্রশাসক বলেন, পদ্মা ও মধুমতি থেকে অবৈধভাবে প্রচুর বালু তোলা হয়। যদি তুলতেই হয় তাহলে বালুমহাল ঘোষণা করে ইজারা দিয়ে তোলা হোক।শহরের প্রাণ কুমার নদ রক্ষায় রোজার পরে মাস্টার প্ল্যান ধরে অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদে জোরদার অভিযান শুরু করা হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে অবগত করে অভিযান চালানো হবে, যাতে কেউ এ নিয়ে অপপ্রচার চালাতে না পারে। প্রভাবশালী হোক বা যেই হোক কারো ওজর আপত্তি গ্রাহ্য করা হবে না। রোজার পরে কুমার নদের দুই পাড়ে নদীর জায়গায় যত স্থাপনা রয়েছে সব ভেঙে দেওয়া হবে।
ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা স্বাগত বক্তব্যে বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমিয়ে ভূউপরিভাগস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কারণ সুপেয় পানি প্রাপ্তির উপরে নির্ভর করছে আমাদের পরিবেশ-প্রতিবেশের নিশ্চয়তা। অন্যথায় আমরা সংকটে ভুগবো।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইয়াছীন কবির, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) রামানন্দ পাল, ফরিদপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মনিরুল হক মনির, মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মামনুন রশীদ অনিক, সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোরাদ হোসেন প্রমুখ।
(ঢাকা টাইমস/২৪মার্চ/প্রতিনিধি/এসএ)