ঢাকায় কর দিয়ে ২৬৮০ বিয়ে
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে কেউ বিয়ে করলে তাকে বিবাহ নিবন্ধন ফি (কর) দিতে হয়, যা গত ১ জানুয়ারি কার্যকর হয়েছে। ২১ মার্চ পর্যন্ত এই নিয়মে বিবাহ সম্পন্ন করেছেন ২৬৮০ জন।
সিটি করপোরেশন আদর্শ কর তফসিল-২০১৬ অনুযায়ী এ কর দিতে হয়। এই কর থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আয় হয়েছে ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
আদর্শ কর তফসিল, ২০১৬-এর ১০(৪)-এর ১৫২ নম্বর ক্রমিক অনুযায়ী তৃতীয় স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে চতুর্থ বিয়ে করতে হলে করপোরেশনকে ৫০ হাজার টাকা কর দিতে হবে। প্রথম দুই স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে তৃতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা কর দিতে হবে। প্রথম স্ত্রীর জীবদ্দশায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনকে পাঁচ হাজার টাকা কর দিতে হবে। প্রথম বিয়ে বা স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ের ক্ষেত্রে কর ১০০ টাকা।
ডিএসসিসির গবেষণা কর্মকর্তার তথ্য অনুযায়ী, এ আইন মেনে বর্তমানে শুধুমাত্র করপোরেশন এলাকায় প্রথম বিয়ে অথবা স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ের ক্ষেত্রেই বিবাহ নিবন্ধন কর আদায় করা হচ্ছে।
জনতা ব্যাংকে জমাকৃত বিবাহ নিবন্ধন করের তথ্য থেকে জানা যায়, গত ১ জানুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রথম বিয়ে অথবা স্ত্রীর মৃত্যুর পর বিয়ে মিলে ২৬৮০টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। যাতে দক্ষিণ সিটির আয় হয়েছে ২ লাখ ৬৮ লাখ টাকা। পরবর্তীতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বিবাহ কর আদায়ের বিষয়টি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।
ডিএসসিসির গবেষণা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ঢাকা টাইমসকে বলেন, “বিবাহ নিবন্ধন রেজিস্ট্রেশনের ফলে নগরীতে বিবাহ সংগঠনের ক্ষেত্রে প্রতিটি বিবাহের বিস্তারিত তথ্য যেমন- ওয়ার্ডভিত্তিক মুসলিম নিকাহ রেজিস্ট্রেশন/হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন/ খ্রিস্টান ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন/ স্পেশাল ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন কার্যালয় হতে বিবাহকারীর নাম, স্থায়ী ঠিকানা, এনআইডি নম্বর, মোবাইল নম্বর, বিবাহ নিবন্ধনের তারিখ, নিবন্ধন করের পরিমাণ, বিবাহ লিপিবদ্ধের তারিখ ইত্যাদি তথ্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে রেজিস্ট্রেশন সংরক্ষিত থাকবে। চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্যাদি নগর আর্থ-সামাজিক গবেষণায় উপাত্ত হিসেবেও ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে। বাল্যবিবাহ রোধে সামাজিক শৃঙ্খলা আনয়ন করবে। তালাকের বিষয়টি সিটি করপোরেশন থেকে বাস্তবায়ন হয় বিধায় বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে তালাক কার্যক্রমে এ তথ্য বিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ব্যক্তির জবাবদিহিতায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে।”
(ঢাকাটাইমস/২৯মার্চ/এআইএফ/কেএ/এফএ)