গোসলখানায় পানি না পেয়ে নদীতে ঝাঁপ, তরুণীর মরদেহ উদ্ধার

শরীয়তপুরের নড়িয়ায় গোসলখানায় পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে বাড়ির পাশের নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিলেন রুপা। এসময় নদীর স্রোতে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
সোমবার রাত ১০টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার বৈশাখীপাড়ার কীর্তিনাশা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি।
নিহত রুপা আক্তার (২৬) বৈশাখীপাড়া গ্রামের মোসলেম সরদারের মেয়ে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েকদিন ধরে অসংলগ্ন আচরণ করছিলেন রূপা আক্তার। প্রতিবেশীরা বলাবলি করছিল জ্বীনে ধরেছে তাকে। এরপর গতকাল তার মা তাকে নিয়ে ফকিরের কাছে গিয়েছিল। সন্ধ্যায় রুপার মা মাগরিবের নামাজ পড়ছিলেন। এসময় গোসলখানায় পানি না পেয়ে বাড়ির পাশের নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। এরপর তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
রুপার মা রানু বেগম বলেন, কয়েকদিন ধরেই আমার মেয়ে পাগলের মত আচরণ করতেছিল। আশপাশের মানুষরা বলছে ওরে নাকি জীনে আছর করেছে। তাই গতকাল সকালে রুপাকে ফকিরের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আসার পর কয়েকবার গোসল করার পরেরও কিছুক্ষণ পর পর পানি খুঁজছিল। ইফতারের পর আমি মাগরিবের নামাজ পড়ছিলাম। এসময় সে আবারও পানি খুঁজতে গোসলখানায় যায়। সেখানে পানি না পেয়ে দৌড়ে গিয়ে নদীতে ঝাপ দেয়। আমি পেছন পেছন দৌড়ে এসে ওরে আর পাইনি। আমার বুকের মানিক চইলা গেল।
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান বলেন, আমাদের কন্ট্রোল রুম থেকে খবর পেয়ে আমরা মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য ছুটে আসি। আমাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমরা পানির নীচ থেকে মেয়েটির লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে নদী থেকে তোলা রুপার মরদেহ ময়নাতদন্ত হয়নি। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/০২এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন