দীর্ঘদিন সুস্থভাবে বেঁচে থাকার উপায়, জেনে নিন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:১৭

সুন্দর এই পৃথিবী ছেড়ে কেউ কি চলে যেতে চায়! পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ দীর্ঘ জীবন আশা করে। শুধু দীর্ঘ জীবন নয়, বলা যায় অমরত্ব লাভ করতে চায়। শুধু চেয়ে-ই মানুষ বসে নেই, কীভাবে আরও বেশিদিন বেঁচে থাকা সম্ভব তা নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে বিজ্ঞানীদের। সেই অতীতকালেও যখন বিজ্ঞানের আলো পড়েনি তখনো মানুষ তন্ত্র-মন্ত্রের সাহায্যে অমরত্ব লাভ করার চেষ্টা করেছে। চান। কিন্তু শুধু দীর্ঘায়ু পেলেই হবে না, দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকাটও জরুরি। দীর্ঘ দিন সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য কোন কোন স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, জীবনধারায় কোন কোন পরিবর্তন আনা প্রয়োজন জেনে নিন।

দীর্ঘায়ু লাভের কিছু বৈজ্ঞানিক উপায় আছে। যেমন: দ্রুত হাঁটলে আয়ু বাড়ে। আনন্দে থাকলে আয়ু বাড়ে। নিরামিষ খেলে বেশি দিন বাঁচে। সূর্যালোকে থাকলে। পর্যাপ্ত ঘুমালে। চাপমুক্ত থাকলে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে। ধূমপানমুক্ত থাকলে। ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং প্রতিকার করা। অবক্ষয় রোধ। বার্ধক্যজনিত এবং বিপাকজনিত রোগের মূলোৎপাটনকরণ। হরমোন জনিত রোগের চিকিৎসা করা।

গবেষকদের মতে, দীর্ঘকালীন জীবিকার সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্যক্তিরা সারাজীবন শারীরিকভাবে কাজ করেছেন এবং সাধারণ খাবার খান।

এটি সুবিদিত যে খারাপ অভ্যাস এবং জাঙ্ক ফুড জীবনকে উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। আপনি এটি নিয়ে তর্ক করতে পারবেন না। এগুলো হৃৎপিণ্ড, রক্তনালী, লিভার এবং কিডনির রোগগুলোকে উস্কে দেয়। এই রোগগুলোই অকাল মৃত্যুকে জড়িত করে।

বাস্তুশাস্ত্র আজ সবচেয়ে চাপের বিষয়। এটি কাউকে অবাক করে দেবে না যে প্রায় সমস্ত শতবর্ষজীবী বাস্তুগতভাবে অনুকূল অঞ্চলে বাস করেন যেখানে বড় উদ্যোগ নেই। পরিষ্কার বাতাস, পানি, প্রাকৃতিক খাদ্য, মানসিক চাপমুক্ত, পারিবারিক সহযোগিতা দীর্ঘজীবনের জন্য এগুলো প্রধান শর্ত।

প্রথমত, পুষ্টি সুষম হওয়া উচিত, অর্থাৎ সবকিছু সংযত হওয়া উচিত। কোনও ব্যক্তি এভাবে কাজ করেন যাতে শরীরের সঠিক ক্রিয়াকলাপের জন্য বিভিন্ন উপাদানের মধ্যে থাকা অনেক উপাদান প্রয়োজনীয় হয়।

দ্বিতীয়ত, মানসিক চাপ আধুনিক বিশ্বকে চাপ এবং হতাশা থেকে পৃথক করা যায় না যা স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তারা বিপুল সংখ্যক রোগকে উস্কে দেয়। বহু বছর ধরে বসবাস করে এবং বার্ধক্যজনিত প্রক্রিয়াটিকে ট্রিগার করে। কোনও ব্যক্তির বৈষয়িক এবং আধ্যাত্মিক বিশ্বের মধ্যে একটি ভারসাম্যহীনতা রয়েছে, যা তাকে মানসিক চাপের জন্য দুর্বল করে তোলে। দুর্দান্ত নার্ভাস স্ট্রেসের ক্ষেত্রে হাঁটাচলা করুন, নিজেকে কিছু করার জন্য শখ দিন, আরও সক্রিয়ভাবে বিশ্রাম করুন।

এক্ষেত্রে শতবর্ষের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ হলো পরিবারের লোক। তিনিই সেই ব্যক্তিকে এমন পরিস্থিতি তৈরি করেন যার অধীনে তিনি দীর্ঘকাল বেঁচে থাকেন। পরিবারের সদস্যদের যত্ন নেওয়া, তরুণ প্রজন্মের সাথে সরাসরি যোগাযোগ, আপনার প্রিয়জনদের প্রতি আপনার তাৎপর্যের প্রতি আস্থা, আপনি যে ভালবাসা দেন, সুরক্ষা এবং আত্মবিশ্বাসের অনুভূতি - এটি প্রয়োজনীয় ভিত্তি যার মাধ্যমে একজন ব্যক্তির জীবনের আগ্রহ রয়েছে, যা প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়।

দীর্ঘজীবন বা শতবর্ষজীবী মানুষের খোঁজ পাওয়া যায় অনেক জায়গায়। জাপান, সুইজারল্যান্ড, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, আইসল্যান্ড, ইতালি, ইসরায়েল, ফ্রান্স, গ্রিসসহ বিভিন্ন দেশে। এরকমই গ্রিসের একটি ছোট দ্বীপ নাম ইকারিয়া। ২৫৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। সেখানে যেন মানুষের জীবনে এমন কিছু একটা ঘটেছে, যার ফলে ‘মৃত্যুকে ভুলতে বসেছেন তাঁরা! বা অন্য ভাবে বললে বিষয়টা এমন, ‘অমরত্বের রহস্য জেনে ফেলেছেন!

বিস্ময়ে ভরা এই দ্বীপের মানুষের গড় আয়ু ১০০ বছর। এত বছর বয়স মানেই চোখের সামনে কুঞ্চিত চামড়া, ক্ষীণ দৃষ্টি, লাঠি ধরে চেয়ারে বসে থাকার যে ছবি ফুটে ওঠে, তার সঙ্গে ইকারিয়ার বাসিন্দাদের কোনও মিল পাবেন না। ১০০ বছরেও লাঠি-নির্ভর নন এখানকার বাসিন্দারা। পাহাড়ি সিঁড়ি ভেঙে একাই উঠে যান।

এখানকার বাসিন্দারা আজও ঘড়ির উপর নির্ভরশীল নন। ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামতো দোকান খোলেন। লাঞ্চে নিমন্ত্রিত অতিথিরা দুপুর ১২টাতে আসতে পারেন, আবার সন্ধ্যা ৬টাতেও। এখানে সবাই নিজের মর্জির মালিক। আর তাতে কারও কোনও সমস্যাও নেই। ছোট্ট এই দ্বীপে সকলেই একটা পরিবারের মতো বাঁচেন। টাকা-পয়সা নিয়ে কেউই মাথা ঘামান না। আর তাই ভীষণ স্ট্রেস মুক্ত জীবন এখানে।

বেশি শাক-সব্জি, ফল খান তাঁরা। ফাস্ট ফুড একেবারেই চলে না এখানে। মাছ-মাংসও পরিমাণে খুব কম খান এখানকার বাসিন্দারা। মৎস্য়জীবী, চাষি, পশুপালন এগুলোই এখানকার মানুষের মূল জীবিকা। আর পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় আলাদা করে শরীরচর্চারও প্রয়োজন হয় না। দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই সেটা সম্পূর্ণ হয়।

রাতে ঘুমনোর আগে তাঁরা এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট হার্বাল চা খান। কোনও স্ট্রেস না থাকার কারণে তাঁদের ঘুমও পর্যাপ্ত হয়, যা শরীর সুস্থ রাখার অন্যতম উপায়।

ভাবতে অবাক লাগলেও বয়স তাঁদের যৌবনেও ছাপ ফেলতে পারে না। তাই ৮০ শতাংশ ইকারিয়ান ৬৫ থেকে ১০০ বছরেও সম্পূর্ণ সুস্থ এবং স্বাভাবিক যৌন জীবন পর্যন্ত উপভোগ করেন। ইউনিভার্সিটি অব আথেন্স-র এক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শতায়ুর সংখ্যা এই দ্বীপে কেন? কেন এখানে মানুষ কম অসুখে ভোগেন? বিশ্বে ভয়ানক হারে বাড়তে থাকা ক্যানসার এবং হৃদরোগ এখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে দেখাই যায় না, সেটা কী ভাবে সম্ভব? প্রচুর গবেষণাও হয়েছে এ নিয়ে।

গবেষণায় বারবারই তাঁদের লাইফস্টাইলের বিষয়টি উঠে এসেছে। তাঁদের চিন্তামুক্ত জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাস এবং সর্বোপরি এই দ্বীপের জলবায়ু এই তিনটি কারণের জন্যই ‘মৃত্যুকে ভুলতে বসেছেন এঁরা, এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

অন্যদিকে ডিএনএ রক্ষা করার মধ্যে আয়ু বাড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহের ক্রোমোজোমের স্বল্পতা দেখা দেয়। যা মানুষকে অসুস্থতার দিকে ধাবিত করে। গবেষণায় দেখা গেছে, সঠিক খাবার ও শরীরচর্চার মাধ্যমে এগুলো রক্ষা করা সম্ভব।

দীর্ঘ ৮০ বছরের এক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কোনো একটি কাজকে সঠিকভাবে নিরূপণের জন্য ঘটনার গভীরে যায় এবং চিন্তা করে তারা দীর্ঘদিন বাঁচে।

তবে দীর্ঘায়ুর জন্য জীবনে বন্ধু খুব প্রয়োজন। ‘বন্ধু’ শব্দটি ছোট, কিন্তু এর গভীরতা অনেক। বন্ধুত্বের ব্যাপ্তি সীমাহীন। বন্ধুত্বের কোনো বয়সসীমা নেই। সমবয়সীরাও যেমন বন্ধু হতে পারে, তেমনি বয়সে ছোট-বড়রাও বন্ধু হতে পারে। মনের মিল হলেই বন্ধু হওয়া যায়। দীর্ঘায়ুর জন্য জীবনে ভালো বন্ধু খুব প্রয়োজন।

ধূমপান ত্যাগ করলে আয়ু বাড়ে। আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’-এর এক সমীক্ষা বলছে, যারা নিয়মিত ধূমপান করেন, তাদের আয়ু ১০ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে। সুস্থ ভাবে দীর্ঘায়ু পাওয়ার জন্য ধূমপানের অভ্যাস গোড়াতেই ত্যাগ করতে হবে— এমনই পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

পর্যাপ্ত ঘুমালে আয়ু বাড়ে। জীবনের অন্যতম আরামদায়ক ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হচ্ছে ঘুম। ঘুম আমাদের মেটাবলিজম সিস্টেম ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করে। জীবনে স্থিতি দেওয়ার পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে সক্রিয় করে। হৃদরোগের সম্ভাবনা কমিয়ে রাখে। লং আর শর্ট টার্ম মেমোরি গুছিয়ে রাখাসহ স্মৃতিশক্তি গুছিয়ে জড়ো করে রাখে। শারীরিক, মানসিক ও মস্তিষ্কের কার্যক্রম ঠিক রাখার জন্য জীবনের মোট সময়ের তিন ভাগের এক ভাগ ঘুমের কোনো বিকল্প নেই। ভুলে গেলে চলবে না আট ঘণ্টা ঘুম মস্তিষ্কের কার্যক্রমকে সবচেয়ে ভালো রাখে।

স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও ডায়েট ফলো করলে আয়ু বাড়ে। দীর্ঘায়ুর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত খাবার ও ডায়েট ফলো করতে হবে। এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো ভিটামিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফাইটোকেমিকল উচ্চ মাত্রায় থাকে, সে খাবারগুলো আমাদের মস্তিষ্ক কর্মোদ্যম রাখে। টমেটো বা তরমুজে লাইপেন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা মুক্ত আয়নকে শরীর থেকে বের করে দেয়। এই মুক্ত আয়ন বার্ধক্যজনিত একটি সমস্যার কারণ। গাঢ় সবুজ শাক যেমন কলইশাক বা পালংশাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘ই’ এবং ‘কে’ থাকে। যা স্মৃতি হ্রাস হয়ে যাওয়া ঠেকিয়ে রাখে এবং মস্তিষ্ক বুড়িয়ে যেতে দেয় না।

বিয়ে করলে আয়ু বাড়ে। ২০১৩ এর এক রিসার্চে দেখা গেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জন্ম গ্রহণকারীদের মধ্যে যারা অবিবাহিত তারা বিবাহিত অথবা দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের মধ্যে যারা আছে তাদের তুলনায় তাড়াতাড়ি মারা যায়। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে জীবনসঙ্গী মানুষকে আবেগ অনুভূতি বাড়িয়ে দেয়, সামাজিকভাবে একত্রে রাখে, মানসিকভাবে সমর্থন দেয়, যার সব কিছুই সুস্থ স্বাভাবিক স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন।

শরীরের ওজন কমানো হলে আয়ু বাড়ে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ‘মেটাবোলিজম’ কমতে থাকে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে হলে বেশি বেশি ব্যায়াম এবং কম ক্যালরি যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি।

শরীরচর্চা করলে আয়ু বাড়ে। অনেক বয়স পর্যন্ত নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে সাঁতার, হাঁটাহাঁটি এবং সাইক্লিংয়ের মতো শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। যেগুলো হৃদপেশির সংকোচন-প্রসারণ ত্বরান্বিত করে শরীরকে ভালো রাখে হৃদপিণ্ডকেও সুস্থ রাখে।

মদ্যপান ছাড়লে আয়ু বাড়ে। ‘ল্যানসেট’ পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়া বেশ কয়েকটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, যারা সপ্তাহে ১৪ পেগ মদ্যপান করেন, তাদের ছয় মাস পর্যন্ত আয়ু কমে যেতে পারে। যারা সপ্তাহে ১৪ থেকে ২৫ পেগ পর্যন্ত মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে আয়ু কমে যেতে পারে এক থেকে দুই বছর। আর যারা সপ্তাহে ২৫ পেগের বেশি মদ্যপান করেন, তাদের ক্ষেত্রে আয়ু পাঁচ বছর পর্যন্ত কমে যেতে পারে। প্রায় ৬ লক্ষ মানুষের উপর সমীক্ষা চালিয়ে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

দূর্ঘটনা থেকে বাঁচতে সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করলে আয়ু বাড়ে। মটরসাইকলে বা সাইকেল চালানোর সময় হেলমেট মাথাকে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা হতে রক্ষা করে। তাই অবশ্যই বের হবার আগে হেলমেট সঙ্গে নিতে হবে। হেলমেট না থাকায় মোটর সাইকেল দ্বারা সংঘটিত অধিকাংশ দুর্ঘটনায় মৃত্যুই হয়ে থাকে।

অন্যকে ক্ষমা করলে আয়ু বাড়ে। পৃথিবীতে বহু অনিষ্টের কারণ হলো রাগ বা ক্রোধ। এ রাগের ফলে মানুষ সম্মানিত হওয়ার পরিবর্তে লজ্জা ও অবজ্ঞার শিকার হয়। তাই কারো দ্বারা কোনো ক্ষতি বা অন্যায়মূলক কাজ হয়ে গেলেও রাগ না করে ক্ষমা করা বা ধৈর্য ধারণ করা উচিত। কারণ রাগ নয় ক্ষমায় রয়েছে প্রকৃত মানুষের সাফল্য।

আয়ু বৃদ্ধি করে ফাস্টিং বা উপবাস। গবেষণায় দেখা যায় উদ্ভিদজাত প্রোটিন বিভিন্ন হার্ট এবং রক্তনালীর রোগ থেকে সুরক্ষা দেয়। আর এর উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে বিভিন্ন আয়ু বৃদ্ধিকারী ডায়েট। লিটারেচার খুঁজলে এরকম অনেক ডায়েটের খবর পাবেন, যা আপনার মাথাকে তালগোল পাকিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট। এগুলোর মধ্যে যা রয়েছে: নিম্ন ক্যালোরি যুক্ত খাবার, নিম্ন প্রোটিনযুক্ত (বেশিরভাগটাই উদ্ভিদজাত প্রোটিন) খাবার, দুধ এবং ননীমুক্ত খাবার, উচ্চ মাত্রার আশযুক্ত খাবার, ভিটামিন এবং মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার, একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে মাঝে মাঝে উপবাস থাকা।

আয়ু বৃদ্ধি করতে গেলে, আক্রান্ত এবং অপ্রয়োজনীয় কোষগুলোকে খাদ্যে পরিণত করার জন্য যেটা প্রয়োজন, সেটা হচ্ছে মাঝে মাঝে ১২ থেকে ৪৮ ঘন্টার উপবাস।

জীবনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা রাখা। আমরা জীবনে কী চাই কিংবা আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী হওয়া উচিত— এ সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা প্রত্যেক মানুষের দরকার। আশাবাদী মানুষ সব সময় সফল হয় এবং তারা তাদের লক্ষ্যকে সঠিকভাবে নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। দীর্ঘায়ুর জন্য আমাদের লক্ষ্য ও চাহিদা সে পর্যন্তই থাকা উচিত, যে পর্যন্ত আমরা পৌঁছাতে পারব। কাল্পনিক বা অসম্ভব কোনো লক্ষ্য ও চাহিদা আমাদের থাকা উচিত নয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩ এপ্রিল/আরজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :