ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৫| আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৭:৫০
অ- অ+

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভায় বক্তারা বলেছেন, সবার জন্য চিকিৎসা অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছেন। তিনি ছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।

মঙ্গলবার দুপুরে শিশুকল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত স্মরণ সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সম্মুখভাগে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একই সঙ্গে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশি চিকিৎসক, দানবীর, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, সমাজসেবক ও রাজনৈতিক স্পষ্টভাষী ও সময়ের সাহসী সন্তান। তার মৃত্যুতে দেশ ও জাতি একজন দেশপ্রেমিককে হারিয়েছে। গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণ ও সবার জন্য চিকিৎসা অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবনের শেষদিন পর্যন্ত লড়াই করে গিয়েছেন। তিনি সরকারের জুলুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী দিনে গণতান্ত্রিক সমাজ নির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরউল্লাহ চৌধুরী ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় লন্ডনের রয়েল কলেজ ও সার্জনসে এফআরসি ডিগ্রিতে পড়াকালীন সময়ে চূড়ান্ত পর্ব শেষ না করেই দেশে ফিরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। নিজে একজন চিকিৎসক হওয়ায় তিনি সহযোদ্ধাদের সঙ্গে নিয়ে রণাঙ্গনে ফিল্ড হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধে আহতদের চিকিৎসা সেবায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। তিনি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল, গণবিশ্ববিদ্যালয়, গণফার্মাসিউক্যাল প্রতিষ্ঠা করে গণমানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন।

সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় আমরণ প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার না থাকায় জনগণ মুক্তিযুদ্ধের সুফল পাচ্ছে না। স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও দেশে গণতন্ত্র-ভোটাধিকার নির্বাসনে। এরশাদ সরকারের আমলে ঔষধ নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কৃতিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর। বাংলাদেশ থেকে বিদেশে ওষুধ রপ্তানির শুভযাত্রা শুরু হয় এই ঔষধ নীতির কারণে।

সভাতির বক্তব্যে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আর্তমানবতার কল্যানে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। গণমানুষের মাঝে এখনো অনেকের চেয়ে তীব্র ও উজ্জ্বলভাবে বেঁচে আছেন তার কাজের মধ্য দিয়ে, কর্মের মধ্য দিয়ে। আমার জীবনের আইডল ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। কারণ উনি ক্রিয়েটিভ ছিলেন, উনি প্রতিবাদী ছিলেন। উনি যেভাবে প্রতিবাদ করতেন সমাজের কেউ তা করতেন না। এতো বিগ্রহ এত জটিলতার মাঝেও উনি প্রতিবাদ করে গেছেন। আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তার অসমাপ্ত কাজকে এগিয়ে নিতে চাই।

লেবার পার্টির মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, গ্রীন ভয়েচ এডিটর মোস্তফা কামাল মজুমদার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকারের সদস্য সচিব মো. ফারুক হোসাইন, মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জোহরা খাতুন জুইঁ, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, পিএনপির চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, যুগ্ম-মহাসচিব হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, ছাত্রমিশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন, মহানগর লেবার পার্টির নেতা কে এম আবু তাহের, তারেক আজিজ প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/জেবি/১৬এপ্রিল/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
"হাতে হারিকেন ধরিয়ে জাহান্নামে পাঠানো হবে!" — চাঁদাবাজি নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তার হুঁশিয়ারি
মিডফোর্ডের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বিএনপিকে দায় চাপানো অপরাজনীতি: সালাহউদ্দিন
মিডফোর্টে পাথর মেরে হত্যা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে: জামায়াত
মিটফোর্ড হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি বিএনপি মহাসচিবের
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা