যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন সংসদে পাস করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমি যেমন চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবো, রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, রোগীদেরও মন্ত্রী। দুজনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একমাত্র পন্থা হলো স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন। মন্ত্রী হওয়ার পরে আমি এই বিষয়ে ৪টি সভা করেছি। আমি কথা দিচ্ছি, যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন জাতীয় সংসদে পাস করবো।’
বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লায় ১৭-১৮ এপ্রিল দুইদিনের সফরের শেষদিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রান্তিক অঞ্চলের স্বাস্থ্যসেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে আমি সবসময় একটি কথা বলে আসছি; প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা বা অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হলে সারা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হলে শহরের ওপর চাপ কমবে৷ আমি নিজেই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে উঠে এসেছি। আমি সব জানি। তাই, প্রান্তিক এলাকায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও সকল প্রকার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা মন্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহার, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান এনডিসি, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. টিটো মিঞা প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় কুমিল্লায় একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ. ক. ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘বৃহত্তর কুমিল্লা এবং বৃহত্তর নোয়াখালী মিলে প্রায়ই আড়াই কোটি লোক এখানে বাস করে৷ প্রতিদিন ক্যানসার রোগীর স্বজনরা আমার কাছে সাহায্য নিতে আসেন৷ একটা দিনও বাদ যায় না৷ সমাজকল্যাণ থেকে আমরা ৫০ হাজার টাকা দিই। প্রতিবছর ৫০ লক্ষ টাকা আমি দিই এলাকার দরিদ্র ক্যানসার রোগীদের জন্য৷ মন্ত্রী আপনি একটা ক্যানসার হাসপাতাল নির্মাণ করলে এই দরিদ্র রোগীগুলো বেঁচে যাবে।’
দুইদিনের কুমিল্লা সফরে চান্দিনায় পুনঃনির্মিত কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন এবং ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন, কুমিল্লা সদর হাসপাতাল ও ৩১ শয্যা বিশিষ্ট বুড়িচং হাসপাতাল পরিদর্শন এবং শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে বার্ন ইউনিটের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) উদ্বোধন করে মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সভায় উত্থাপিত দাবিগুলোর প্রয়োজনীয়তা প্রসঙ্গে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘আমাকে কিছু দাবির কথা বলা হয়েছে। একটা ক্যানসার হাসপাতালের দরকার আমি বুঝি৷ সংসদ সদস্যকে আমি অনুরোধ করবো। এই বিষয়ে আমাকে একটা ডিও লেটার দিন৷ তারপর আমি এটা নিয়ে কাজ করবো। অদূর ভবিষ্যতে আমি এখানে একটা ক্যানসার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করবো।’
(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/টিআই/এসআইএস)