সাবেক স্ত্রী তিন্নির সঙ্গে বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে যা বললেন হিল্লোল
শোবিজের এক সময়ের আলোচিত দম্পতি আদনান ফারুক হিল্লোল ও শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি। তবে বর্তমানে দুজনেই হাঁটছেন ভিন্ন পথে। ভালোবেসে ২০০৬ সালে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তারা। যদিও পরবর্তীতে দাম্পত্য কলহের জেরে সংসার জীবনের ইতি টানেন তিন্নি-হিল্লোল। তাদের ওয়ারিশা নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিচ্ছেদের পর ছোট পর্দার আরেক অভিনেত্রী নওশিনের সঙ্গে সংসার বাঁধেন হিল্লোল। তবে সাবেক স্ত্রী তিন্নিকে নিয়ে প্রায়ই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় এই অভিনেতাকে।
সম্প্রতি বেসরকারি একটি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিন্নিকে নিয়ে মুখ খুলেছেন হিল্লোল। পাশাপাশি তিন্নির সঙ্গে বিচ্ছেদের কারণসহ ব্যক্তিগত জীবনের নানান বিষয় নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
তিন্নি-হিল্লোল সম্পর্ক থেকে কোনো শিক্ষা পেয়েছেন কি না, প্রশ্নে হিল্লোলের ভাষ্য, ‘ওখান থেকে কোনো শিক্ষা পাইনি। ওটা ভুল ছিল। আমার কিংবা তাঁর দিক থেকে হতে পারে। ওর–ও হয়তো ভুল ছিল। তবে বর্তমান সম্পর্কে সেই ভুলটা হয়নি। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে আজকে আমাদের সম্পর্কের ১৪ বছর পর এসে বলতে পারি, সেই ভুলটা হয়তো এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে হয়নি।’
সাবেক স্ত্রী তিন্নিকে নিয়ে আরও বলেছেন, ‘৯০ শতাংশ সম্পর্ক নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। তিন্নির সঙ্গে এখন খুব ভালো সম্পর্ক। আমার মেয়ের ১৬ বছর চলছে। ও ক্লাস নাইনে পড়ে। আমাদের মেয়ের কারণেও যোগাযোগ করতে হয়। বর্তমান স্ত্রীর সঙ্গেও তিন্নির নিয়মিত যোগাযোগ হয়। ছোট মেয়েকে তো সময় দেওয়া হয়। বড় মেয়েকে বছরে একবার সময় দেওয়া হয়, যখন কানাডাতে যাই।’
কেন হিল্লোলকে আগের মতো আর অভিনয়ে দেখা যাচ্ছে না—প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘২০১৭-১৮ থেকে নাটকে কাজ করছি না। আমি আসলে উপভোগ করছিলাম না। যে ধরনের কাজ হতো, সেগুলো এনজয় করতাম না।’
নতুন প্রজন্মের কাছে ভ্লগার হিসেবে পরিচিত আপনি—এটাকে কেমনভাবে দেখছেন, ‘এটাকে শুধু ভ্লগিং হিসেবে দেখলে হবে না। কারণ, আমার কাছে টেকনোলজিটা ২০১১-১২ থেকে খুব ইন্টারেস্টিং লাগতে শুরু করে। তখন থেকেই অনুভব করলাম যে এটার একধরনের ভবিষ্যৎ সামনে আছে। এটা নিয়ে কাজও শুরু করি। মাথার মধ্যে ছিল আমার একটি ডিজিটাল পরিচয় তৈরি করা দরকার। যে পরিচয়টা মানুষের কাছে পরবর্তী ৩০ বছর বাঁচিয়ে রাখবে। খাবার ও পণ্যের বিষয়টা আমার আগ্রহ ছিল। সেটা থেকেই শুরু করা। পারিবারিকভাবেই আমরা ভোজনরসিক মানুষ, সে কারণে খাদ্য বিষয়টাই আমার ভালো লাগে। তবে ফুড ভ্লগিংয়ে উত্থান-পতনও আছে। এটাকে ক্যারিয়ার হিসেবে রাখা ঠিক হবে না। কাজের বাইরে বাড়তি কাজ হিসেবে রাখা উচিত হবে।’
(ঢাকাটাইমস/২৩এপ্রিল/এলএম)