নিজের কিডনি বিক্রি করে হয়েছেন ‘কিডনি ব্যবসায়ী’

জয়পুরহাট প্রতিনিধি, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৪৪| আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৩
অ- অ+

অভাবের তাড়নায় পাঁচ বছর আগে নিজের কিডনি বিক্রি করেছিলেন। এখন হয়েছেন পুরোদস্তর কিডনী ব্যবসায়ী। গ্রামের আশপাশের মানুষদের কিডনি বিক্রি করতে এখন উৎসাহ দিচ্ছেন।

শুধু তাই নয়, কিডনি বিক্রির করলে মোটা অংকের অর্থ পাওয়া যাবে, এমন প্রলোভন দেখিয়ে সম্ভাব্য বিক্রেতাদের কাছ থেকে আগাম টাকা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে এই কিডনি বিক্রেতার বিরুদ্ধে।

এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের আব্দুল বাহাপুর গ্রামের। চিকিৎসকরা বলছেন, ‘কিডনি ট্রান্সফার করা ব্যাক্তি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারলেও আগের চেয়ে শারিরীক ক্ষমতা অনেকাংশে কমে যাবে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে ওই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে ময়নুল হোসেন অভাবের তাড়নায় টাকার বিনিময়ে শরীরের অমূল্য সম্পদ একটি কিডনি বিক্রয় করেন। এর আগে একই গ্রামে বসবাস করা জহুর আলীর মেয়ে জামাই সবুজ হোসেনকে (ডিবজল) টাকার লোভ দেখিয়ে ও নানান প্রলোভনে কিডনি বিক্রয় করতে রাজি করান ময়নুল।

তবে এ কাজ করতে বিভিন্ন লোক ম্যানেজ করতে খরচ হবে বলে সবুজের নিকট থেকে দেড় লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন। বছর অতিবাহিত হলেও সবুজের কিডনি বিক্রি আর হয়নি। অনেক টাকার মালিকও হতে পারেননি সবুজ।

ভুক্তভোগী সবুজ ও শ্বশুর জহুর আলী বলেন, ‘ময়নুলের প্রলোভনে পরে সংসারের অভাব মিটাতে দেড় লক্ষ টাকা দেওয়া হয় তাকে।’

শাশুড়ী আজিমন বেগম বলেন, ‘ঋণ করে এবং মেয়ে-জামাইয়ের ৩ শতক বাড়ির ভিটা ছিল সেটুকুও বিক্রয় করে দালাল ময়নুলকে দেওয়া হয়। এখন জামাই-মেয়ে অন্য মানুষের জায়গায় টিনের ঘর করে কোনোরকমে বসবাস করছে।

সরেজমিনে ময়নুলের বাড়িতে খোঁজ নিতে গেলে স্বজন ও প্রতিবেশিরা ভিড় করেনআহসান হাবিব নামের একজন বলেন, ‘প্রথমে গ্রামেরই বুলবুল নামের এক ছেলেকে টাকার লোভ দেখিয়ে কিডনি বেঁচে দেওয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে গিয়েছিল ময়নুল। কিন্ত পরে বুলবুল ময়নুলের খপ্পরে না পরে ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালাতে শুরু করে।’

পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল আমিন বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের শরীরে ২টি কিডনি থাকে। কেউ যদি ১টি কিডনী ট্রান্সফার করে দেয় তাহলে একটিতেও স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। তবে শরীর আগের তুলনায় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যাবে।’

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘কিডনি কেনাবেচার বিষয়ে আমি অবগত নেই। তবে টাকা পঁয়সা লেনদেনের বিষয়ে অভিযোগ হতে পারে সেটি থানায় গিয়ে দেখে বলতে পারবো।’

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/প্রতিনিধি/এসআইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
তোপের মুখে সিদ্ধান্ত বদল, ৫ দিন আগেই সাতক্ষীরার হিমসাগর বাজারে
২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি চলছে
মাহবুবুল হক নান্নু'র বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, প্রতিবাদ জানাল মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক
শেখ মুজিবের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বহাল রেখে সংশোধিত খসড়া উঠছে উপদেষ্টা পরিষদে
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা