গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: শিডিউল বিপর্যয়ে দিনভর যাত্রীদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৪ মে ২০২৪, ২০:৩৭| আপডেট : ০৪ মে ২০২৪, ২২:৩৩
অ- অ+

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেল জংশনের আউটার সিগন্যালে যাত্রীবাহী ট্রেন ও তেলবাহী ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় রেলের এই রুটে শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। শনিবার দিনভর শিডিউলের এই বিপর্যয় দেখা যায়। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টার ভোগান্তিতে কাটান যাত্রীরা।

জানা গেছে, দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-জয়দেবপুর ডাবল রেল লাইনের একটিতে ট্রেন চলাচল করলেও অপরটি বন্ধ থাকে। এতে ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ে পড়ে ট্রেন। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিলম্বে ছেড়েছে বেশ কিছু ট্রেন। ঢাকাগামী বেশকিছু ট্রেনেরও বিলম্বের ছাড়ার তথ্য মিলেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন হাজারও সাধারণ যাত্রীরা। কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের আশায় স্টেশনে অপেক্ষা আর ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল হন তারা।

দুর্ঘটনার প্রায় ৩১ ঘণ্টা পর লাইনচ্যুত বগিগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এতে করে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই রুটে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।

জয়দেবপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনের উপসহকারী প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম জানান, শনিবার বিকাল ৫টা ২০ মিনিটে উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়ার পর দুর্ঘটনাকবলিত লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ঘোষণা করা হয়েছে। এখন দুই লাইন দিয়েই ট্রেন চলাচল করতে পারবে।

শনিবার দুপুরে কমলাপুরে রেলওয়ে স্ট্রেশনে ট্রেনের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ঢাকা থেকে রংপুরগামী বেশকয়েকজন যাত্রী জানান, ভোরে ঢাকায় ঢোকার কথা ট্রেন, তবে দুপুর ১টা পেরুলেও তার দেখা পাননি। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গ থেকে যেসব ট্রেন ঢাকায় প্রবেশ করে, সেগুলো ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা দেরি করে আসে।

কয়েকজন যাত্রী জানান, ট্রেন বিলম্বে আসার কারণে গরমে তারা খুব সমস্যায় পড়েছেন। ট্রেন কখন আসবে তা কেউ বলতে পারছেন না।

শিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, দুর্ঘটনার কারণে এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ট্রেন বিলম্বে ছেড়েছে।

শুক্রবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে সংঘর্ষের ঘটনার পর জয়দেবপুর স্টেশন দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিম রেললাইনে ট্রেন চলাচল প্রায় আড়াই ঘণ্টা বন্ধ থাকে। বিকেলে রিলিফ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়। এ ঘটনায় দুটি ট্রেনের ৯টি বগি লাইনচ্যুত ও চারজন আহত হন। এ ছাড়া টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের পেছনের অংশের অক্ষত বগিগুলো বিকল্প ইঞ্জিনের মাধ্যমে দুর্ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। রাতভর উদ্ধার অভিযানে তেলবাহী ওয়াগনের লাইনচ্যুত পাঁচটি বগির মধ্যে তিনটি অপসারণ করে পাশের স্টেশনে সরিয়ে নেয়া হয়।

এই ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ আলাদা তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বরখাস্ত করা হয়েছে রেলওয়ের তিনজন কর্মচারীকে।

ঘটনার পর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন, সিগন্যাল ভুল ও যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

(ঢাকাটাইমস/০৪মে/এলএম/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
সিলেটে গাঁজাসহ কারবারি গ্রেপ্তার
চার ম্যাচ পর মেসির গোল, মায়ামির জয়
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আগুন, এক ঘণ্টায় নিয়ন্ত্রণে
মানিকগঞ্জে পায়ে হাঁটার পথে দেয়াল নির্মাণের অভিযোগ
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা