অসহ্য এই গরমে ম্যাজিকের মতো শরীর ঠান্ডা করে যে খাবার

ফিচার ও স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ০৫ মে ২০২৪, ০৮:২৬
অ- অ+

চলছে গ্রীষ্মকাল। প্রতিবছর এই সময় প্রচণ্ড গরমে শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে, হচ্ছেও তাই। এই অবস্থায় শরীরকে ঠিক রাখতে অন্যতম খাবার হতে পারে টক দই। শরীর থেকে টক্সিন দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এই খাবার।

এছাড়া গরমে শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা রাখতে টক দইয়ের জবাব নেই। এতে রয়েছে নানা উপকারী গুণাগুণ। এটি হজমে সাহায্য করে। টক দইয়ে থাকা ব্যাকটেরিয়া আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ভালো রাখে, পেপটিক আলসার নিরাময়ে সাহায্য করে, কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

টক দইয়ের সঙ্গে বাদাম বা ফল মিশিয়ে খেলে এর গুণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। গরমে শরীর সুস্থ ও শীতল রাখে টক দই। এর সঙ্গে নিজের পছন্দসই ফল দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন স্মুদি। যা অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর খাবার। ওয়ার্ক আউটের পর এই স্মুদি পান করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে কেনা টক দইয়ের থেকে ঘরে পাতা টক দইয়ের গুণ বহুগুণ বেশি। দোকানের কেনা ফুল ক্রিম মিল্ক টক দই ওজন বৃদ্ধি করে।

ঘরে যেভাবে টক দই বানাবেন

দেড় লিটার দুধ, আধা কাপ গুড়া দুধ ও চার টেবিল চামচ টক দই নিয়ে নিন। প্রথমে দুধ চুলায় দিয়ে জ্বালাতে হবে। কিছুটা কমে এলে একটা কাপে অল্প গরম দুধ নিয়ে গুড়া দুধ তার সাথে মিশিয়ে বাকি দুধের সাথে মিশিয়ে দিন। জ্বালিয়ে দুধ অর্ধেক করে নিন, তারপর চুলা থেকে নামিয়ে ফেলুন।

এবার দুধ চামচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে একটু ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। খেয়াল রাখবেন যেন পুরোপুরি ঠান্ডা না হয়ে যায়। দুধটা হালকা গরম বা কুসুম গরম রাখতে হবে। আবার খেয়াল রাখতে হবে দই মেশানোর সময় দুধ যেন বেশি গরম না থাকে। তাহলে কিন্তু দই জমবে না। দুধে যেন কোনো সর না থাকে। এ জন্য ছেকে নিতে হবে। সর থাকলে দই ভালো জমবে না।

এরপর একটা বাটিতে আগের টাটকা টক দইটা নিয়ে নরমাল এগ বিটার বা চামচ দিয়ে সামান্য ফেটে নিয়ে কুসুম গরম দুধের সাথে চামচের সাহায্যে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। এই দইটা কিন্তু অবশ্যই টাটকা হতে হবে আর এতে পানি থাকা যাবে না। পানি থাকলে বানানো দইও পানি ছাড়বে।

দই মেশানোর সময় দুধ এমন গরম থাকবে যেন দই মেশানোর পরেও দুধ হালকা গরম থাকে। এখন যে পাত্রে দই বসাবেন সেটাতে দই মেশানো দুধটা ঢেলে ভালোভাবে ঢেকে রান্না ঘরে একটা গরম জায়গায় রেখে দিন।

বাসায় ওভেন থাকলে সেটি অফ করে ভেতরে দইয়ের পাত্র রেখে ওভেনের দরজা বন্ধ করে রেখে দিতে পারেন। নাড়াচাড়া করবেন না। ৮-৯ ঘন্টা পরে দেখবেন দই জমে গেছে। তখনই খাওয়ার জন্য ব্যস্ত হবেন না, দইটা ঠান্ডা হয়ে সেট হওয়ার জন্য নরমাল ফ্রিজে রেখে দিন ৩-৪ ঘণ্টা।

টক দই খাওয়ার নিয়ম

টক দই সাধারণত দুপুরের খাবারের পরে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তখন এর থেকে দেহ পুরোপুরি পুষ্টি পায়। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, দিনে ৩০০ থেকে ৪০০ গ্রামের বেশি টক দই খাওয়া উচিত নয়। তাতে হীতে বিপরীত হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/০৫মে/এজে)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
এক মোটরসাইকেলে যাচ্ছিল ৪ বন্ধু, ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল দুজনের
ভারতের সামরিক অভিযানের দ্রুত, দৃঢ় ও কঠোর জবাব দেওয়া হবে: পাকিস্তানের সেনাপ্রধান
সুনামগঞ্জে কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় ৯০টি গরুসহ নৌকা জব্দ 
সাবেক আইজিপি মোদাব্বির হোসেন চৌধুরীর ইন্তেকাল 
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা