মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়া হবে: জাতিসংঘ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
| আপডেট : ২৩ মে ২০২৪, ১৭:৫৮ | প্রকাশিত : ২৩ মে ২০২৪, ১৬:৩৮

মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের শান্তিরক্ষা মিশন থেকে বাদ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠানো নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে। এর পরই নড়েচড়ে বসেছে বিশ্বসংস্থাটি।

স্থানীয় সময় বুধবার বিকালে নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে ডয়চে ভেলের তথ্যচিত্র নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিবেদনটি দেখেছি৷ আমাদের শান্তিরক্ষা বিভাগের সহকর্মীরা এ বিষয়ে যোগাযোগ করছেন এবং এই প্রতিবেদন সংশ্লিষ্টদের কাছে একটি বিবৃতি দিয়েছি৷’

ডুজারিক বলেন, এ ধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে৷ এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷

তিনি বলেন, ‘আমরা আবারও জোর দিয়ে বলতে চাই যে মহাসচিব এমন সব কর্মকর্তাকে শান্তিরক্ষা মিশনে পাঠাতে অঙ্গীকারবদ্ধ, যারা দক্ষতা ও সততার সর্বোচ্চ মানদণ্ড মেনে চলেন৷ এসব মানদণ্ডের মধ্যে আছে মানবাধিকারের প্রতি সম্মান ও অঙ্গীকার৷’

আরেক সাংবাদিক জানতে চান ‘যে দেশ থেকে শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মকর্তা পাঠানো হচ্ছে (স্বাগতিক দেশ), তারাই মূলত এই কর্মকর্তাদের যাচাই-বাছাই করেন৷ সে ক্ষেত্রে যদি কোনো দেশ বা দেশের শাসক নিজেই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী হয়ে থাকে, তাহলে তারা কীভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করবে? তারা কীভাবে জানবে কে লঙ্ঘনকারী, আর কে লঙ্ঘনকারী নন?’

জবাবে ডুজারিক বলেন, ‘যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াটি তিনটি ধাপে করা হয়৷ প্রথম ধাপে ব্যক্তিগত মানদণ্ডে যাচাই হয়৷ পরের ধাপে বাছাইয়ের কাজটা করে স্বাগতিক দেশ এবং অন্য বাছাই প্রক্রিয়াটা হয় জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের অফিস থেকে।’

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে অল্প কয়েকটি দেশের ক্ষেত্রে আমরা কর্মকর্তাদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের পূর্ব-ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পেরেছি যারা আমাদের শান্তিরক্ষী হিসেবে কাজ করেছেন৷ এ ধরনের কিছু ঘটলে আমাদের শান্তিরক্ষা বিভাগের সহকর্মীরা যাচাই-বাছাই ও অন্যান্য নীতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিই৷ এ ধরনের ঘটনার (মানবাধিকার লঙ্ঘন) কারণে শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল হতে পারে৷ এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের মিশন থেকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হবে৷

সূত্র: ডয়চে ভেলে

(ঢাকাটাইমস/২৩মে/এমআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :