কুমিল্লার চার উপজেলায় পুরনো দুজনের প্রতি আস্থা, নতুন মুখ ২
কুমিল্লার বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, দেবিদ্বার ও মুরাদনগর চার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বুড়িচং ও মুরাদনগরে সাবেক দুই চেয়ারম্যানের উপরই আস্থা রেখেছেন ভোটাররা। তবে ব্রাহ্মণপাড়া এবং দেবিদ্বারে নির্বাচিত হয়েছেন দুই নতুন মুখ।
বুধবার রাতে ভোট গণনা শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের দেওয়া বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ঘোষিত ফলাফল থেকে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান একই উপজেলার চেয়ারম্যান আখলাক হায়দার। তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৭৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার বাঁছির খান আনারস প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৪৫৩ ভোট।
অন্যদিকে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রথমবারের মতো ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আবু তৈয়ব অপি ৪৩ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমান কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সংসদ সদস্য আবু জাহেরের ভাতিজা। তার নিকটতম প্রার্থী আনারস প্রতীক নিয়ে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪৭০ ভোট।
এদিকে, দেবিদ্বার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মামুনুর রশীদ (মামুন) প্রথমবারের মতো আনারস প্রতীক নিয়ে ৯২ হাজার ৪৭০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বর্তমান কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই। তার নিকটতম প্রার্থী ঘোড়া প্রতীক নিয়ে শাহিদা আকতার পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৬৩১ ভোট।
এছাড়া মুরাদনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন একই উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আহসানুল আলম সরকার কিশোর। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে ৮৪ হাজার ২৯৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সকালে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। ভোটের পরিবেশ নিয়ে নানা শঙ্কা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের তৎপরতার কারণে কোনো কেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চার উপজেলায় গড়ে ৩০ শতাংশের অধিক ভোট পড়েছে।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে কুমিল্লার চার উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। শুরুতে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেন প্রার্থীরা। তবে ভোটের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত চার উপজেলাতেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
(ঢাকাটাইমস/৩০মে/এজে)