সাদিক এগ্রোর সাভারের খামারে নিষিদ্ধ ৭টি ব্রাহমা বাছুর, দুদকের অভিযানে ধরা
আমদানি নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর বাছুর অনেকটা গোপনেই পালন হচ্ছিল সাদিক এগ্রোর খামারে। সোমবার বিকালে অভিযান চালিয়ে বাছুরগুলো জব্দ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সাভারের বিরুলিয়ায় সাদিক এগ্রোর ওই খামারে অভিযান চালায় দুদকের ৯ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম। এর আগে দুপুরে সাভারে প্রাণিসম্পদের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালায় দুদক।
ছাগলকাণ্ডে আলোচিত সাদিক এগ্রোর এই খামারে দুপুর ৩টার দিকে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়। দুদকের অভিযানে ৭ থেকে ১০ মাস বয়সী ৭টি ব্রাহমা প্রজাতির গরুর বাছুর পাওয়া যায়। পাওয়া যায় আলোচিত সেই ১৫ লাখ টাকার ছাগলটিও।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা সাদিক্র এগ্রোতে সাতটি ব্রাহমা বাছুর পেয়েছি। এখানে ব্রাহমা গরুর থাকার প্রমাণ পেয়েছি। ১৫ লাখ টাকার ছাগলটিও পেয়েছি। আমরা কিছু নথিপত্র জব্দ করেছি।’
তবে সরেজমিনে এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির কেউ কথা বলতে রাজি হননি। কর্মকর্তা-কর্মাচারীরা বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন। কেউ কেউ জানিয়েছে— তাদের কথা বলা নিষেধ।
সাদিক এগ্রোর ম্যানেজার জাহিদ খান ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমি এখানে নতুন এসেছি। এবার কোরবানির ঈদের বেতনও আমাকে দেওয়া হয়নি। এখানে সাদিক এগ্রোর মালিক একমাস আগে একবার এসেছিলেন।’
সাদিক এগ্রোতে কর্মরত মো. রনি ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘সাদিক এগ্রোতে একটি আসল ব্রাহমা জাতের গরু আছে। ছোট থেকেই আমি এইটাকে বড় করছি। আগেই এইখানে ব্রাহমা ছিল। এখন সব নাই।’
পুরো এগ্রো ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ১০টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় আড়াইশ গরু রয়েছে। এছাড়াও খামারে রয়েছে কয়েক হাজার হাসঁ, মুরগী, কবুতরসহ বেশ কিছু পালন নিষদ্ধ হাঁস।
এগ্রোটির কর্মচারী হেলাল বলেন, ‘আমরা এখানে ১৭জন স্টাফ নতুন এসেছি। তবে আমাদের কোনো বিষয়ে কথা বলা নিষেধ।’
এর আগে দুপুর পৌনে একটায় সাভারে প্রাণিসম্পদের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান পরিচালনা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সেখানে দুদক কর্মকর্তারা কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ডা. মো. মনিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
সেখান থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুদকের এই অভিযানিক টিম সাভারের বিরুলিয়া এলাকায় সাদিক এগ্রোতে এসে অভিযান শুরু করে।
প্রক প্রশ্নের জবাবে সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘নিষিদ্ধ ব্রাহমা গরুর ব্যাপারে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবো।’
(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/এইচএম/এসআইএস)