রাজধানীতে কমপ্লিট শাটডাউনের আধাবেলা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের একটি ব্যাংকে চাকরি করেন ফয়সাল মিয়া। শ্যামলীর এই বাসিন্দা অফিস এবং বাসায় যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে বাস ব্যবহার করেন। প্রতিদিন মাত্র ১৫ টাকায় বাসে আসতে পারলেও বৃহস্পতিবার অফিসে আসার সময় ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে তা পরিহার করেন।
এদিন অফিসে আসার ক্ষেত্রে বাসের বিকল্প মাধ্যম হিসেবে ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন ফয়সাল। তবে মোটরসাইকেল যোগে কারওয়ান বাজার আসতে তাকে গুণতে হয়েছে দশগুণ বেশি ভাড়া।
বৃহস্পতিবার সকালে কারওয়ান্ বাজার মোড়ে ফয়সাল মিয়ার সঙ্গে কথা হয় ঢাকা টাইমস প্রতিবেদকের। তিনি বলছিলেন, শাটডাউন জেনেও অনেকটা ঝুঁকি নিয়েও বের হয়েছি। প্রতিদিন বাসে আসলেও আজ বাসে আসার সাহস পাচ্ছিলাম না। একারণেই ভাড়ার বাইকে এসেছি। তবে বাসে ১৫ টাকায় আসতে পারলেও আজ ১৫০ টাকা ভাড়া গুনতে হয়েছে।
এদিন রাজধানীর কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর, মগবাজারসহ বেশকিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সীমিত সংখ্যক গণপরিবহন চলাচল করছে। অনেকক্ষণ পর পর বাস চলাচল করলেও সেগুলোতে যাত্রী নেই বললেও চলে। অন্যদিকে রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ির চলাচল বেশি চোখে পড়ে।
এদিকে কমপ্লিট শাটডাউনে রাজধানীতে রিকশাচালকদের আয়ও কমেছে। রিকশাচালকেরা জানান, অলিগলি ছাড়া মূল সড়কে বা দূরে কোথাও ক্ষেপ মারতে পারছেন না তারা।
এদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ছমেদ মিয়া নামে ইস্কাটন এলাকার এক রিকশাচালক বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আজও সকাল ৭টায় বাইর হইছি। প্রতিদিন এতক্ষণে ৫০০ টাকা ইনকাম হইলেও দুই শ টাকাও কামাইতে পারি নাই।
মেট্রোরেলের চিত্র যেমন
কমপ্লিট শাটডাউনে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে মেট্রোরেল চলাচল করছে। তবে এদিন সকালের দিকে মেট্রোরেলে যাত্রী চাপ থাকলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে যাত্রী সংখ্যা কমছে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মেট্রোরেলের ট্রেশনগুলো ফাঁকা দেখা গেছে। বিশেষ করে নারী সংরক্ষিত কোচগুলো একেবারেই ফাঁকা। এদিকে শাটডাউনে মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় এমআরটি পুলিশের পাশাপাশি এপিবিএন সদস্যরা কাজ করছেন।
গত কয়েক দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের পর এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারীরা।
(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/এলএম)

মন্তব্য করুন