খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে: রাষ্ট্রপতি
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিনে মুক্তি দিয়ে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার রাত ১১টার পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান রাষ্ট্রপতি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে জরুরি সভায় শোকপ্রস্তাব গৃহীত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জানিয়েছেন, বর্তমান দ্বাদশ সংসদ ভেঙে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে। খুব দ্রুতই সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হবে।
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘জরুরি ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সকল দল ও অংশীজনদের সাথে আলোচনা করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে ও বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় আটকসহ সকল বন্দীদের মুক্তি দেওয়া হবে জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।’
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি দেশের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং লুটতরাজ ও ধংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। জনগণের জানমাল ও রাষ্ট্রীয় জানমাল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছি।’
‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের অর্থনীতি ও কলকারখানা চালু রাখার লক্ষ্যে সকলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি’ বলেন রাষ্ট্রপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে অতি শীঘ্রই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে। এছাড়া যারা হত্যা ও সহিংসতার সাথে জড়িত নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী অনতিবিলম্বে বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করা হবে। সকল অফিস আদালত আগামীকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবে চলবে।’
(ঢাকাটাইমস/০৫আগস্ট/এসআইএস)