সাভারে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১

সোমবার (৫ আগস্ট) ঢাকার সাভারে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে গিয়ে ঠেকেছে। এদের মধ্যে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার সাভারের সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে সোমবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ করার পর উল্লসিত জনতা বিজয় মিছিল বের করলে পুলিশের সংঘর্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ সাধারণ জনতার উপর গুলি করলে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।

সাভার উপজেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিহতদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে নিহতের সংখ্যা জানা গেছে।

সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তারা জানান, সোমবার সংঘর্ষের ঘটনার পর আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৫ জনের মৃত্যুর তথ্য তারা নথিভুক্ত করেছেন।

হাসপাতালের তথ্যমতে নিহত ব্যক্তিরা হলেন-রমজান, মোজাহিদ, নাফিসা, তৌহিদুর রহমান, সাফোয়ান, রাসেল, রফিক, নিসান, মুন্না, সজিব, রানা, আলামিন, সাজ্জাদ, লালমিয়া ও কাউয়ুম।

হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক মো. ইউসুফ গণমাধ্যমকে বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিসিই) ভর্তি থাকা ৩-৪ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

এছাড়া সোমবারের সংঘর্ষে সাভারের পাকিজা এলাকায় শ্রাবণ গাজী (২১) নামের একজন নিহত হন। শ্রাবণ গাজীর পরিবারের সদস্যরা জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি নিহত হয়েছেন।

সাভারে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সমন্বয়ক গোলাম রহমান শাহজাহান জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে গতকাল হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কারও মাথায়, কারও পেটে গুলি লেগেছে। আহত আরও কয়েকজন চিকিৎসাধীন আছেন।

আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হারুন অর রশীদ বলেন, গতকাল তিনজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। নিহতরা হলেন, স্বপন প্রামাণিক (২০) ও জাহিদুর রহমান (২৫)। অন্যজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের শরীরেও গুলি লেগেছে।

আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় হাবীব হাসপাতালের ব্যবস্থাপক রাসেল মিয়া বলেন, গতকাল বিকালে পাঁচজনের মরদেহ হাসপাতালের সামনে আনা হয়। কিছুক্ষণ পর ৪ জনের পরিবার মরদেহ সেখান থেকে নিয়ে গেছে। তবে অজ্ঞাত একজনের মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আশুলিয়ার স্থানীয় বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, আশুলিয়া থানার সামনের মহাসড়কে দুই ব্যক্তির মরদেহ দুই পা বেঁধে উল্টো করে ঝোলানো ছিল। আজ সকালে মরদেহ দুটি নিচে নামানো হয়। মরদেহ দুটির মুখ থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া পিকআপে দুজনকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। থানার সামনেও একটি লাশ পড়েছিল। তার শরীর দগ্ধ ছিল।

এ ব্যাপারে ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

গেছেন।ঢাকাটাইমস/০৬আগস্ট/পিএস