শেখ হাসিনার পতনের পর ভারতের মণিপুরে কারফিউ জারি

বাংলাদেশ থেকে মানুষ যাতে ঢুকতে না পারে, এজন্য ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্য সরকার আসাম সীমান্তবর্তী দুই জেলা ফেরজাওল ও জিরিবামে কারফিউ (সান্ধ্য আইন) জারি করেছে। দুই জেলার ম্যাজিস্ট্রেটরা বুধবার (০৭ আগস্ট) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
মূলত বাংলাদেশের সঙ্গে মণিপুরের কোনো আন্তর্জাতিক সীমান্ত না থাকলেও মণিপুরের সঙ্গে দক্ষিণ আসামের সীমানা রয়েছে। আসামের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত থাকায় সতর্কতার অংশ হিসেবে এই কারফিউ জারি করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে সোমবার উত্তর-পূর্ব ভারতের আরেক রাজ্য মেঘালয়ও রাতের কারফিউ জারি করেছিল। মেঘালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
মণিপুর রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি একটি নির্দেশ জারি করে বলেছিল, বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মণিপুরের সঙ্গে সীমানা রয়েছে, এমন রাজ্য থেকে লোক ঢোকার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আরও একাধিক পদক্ষেপ নিতে জেলার ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক নিয়মনীতি সম্পর্কেও তাদের জানানো হয়েছে। ফেরজাওল ও জিরিবাম জেলার প্রশাসকেরা সেই নির্দেশ অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার অধীন রাতের কারফিউ জারি করেন।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ফেরজাওলে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হবে। জিরিবামে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।
২০২৩ সালের মে মাস থেকে জাতিগত সহিংসতায় মণিপুরে আড়াই শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েক হাজার মানুষ এখনও গৃহহীন। সেখানে অস্থিরতা চলমান। মাঝেমধ্যেই মণিপুরে গোলাগুলোর ঘটনা ঘটছে এবং মানুষ মারাও যাচ্ছেন। রাজ্যে এ সহিংসতা শুরুর পর গত ১৫ মাসে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এখনো মণিপুর সফরে যাননি। আর গত জুনে অনুষ্ঠিত লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের দুটি আসনই জিতেছে কংগ্রেস।
(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/কেএম)

মন্তব্য করুন