নাফ নদীতে ট্রলার ডুবি, ৩১ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার
কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র উপকূলে পৃথক দুটি ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৩১ রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ও বুধবার ভোররাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে ঢেউ ও ঝড়ের কবলে পড়ে নাফ নদীতে ট্রলার ডুবির এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর দুইদিনে পৃথক পৃথক সময়ে ৩১ জনের লাশ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এর মধ্যে ১৩ নারী ও ১৫ শিশু রয়েছেন।
টেকনাফ সদর ইউপির চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান জানান, মঙ্গলবার ও বুধবার ভোররাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া ও রাজারছড়া পয়েন্ট এলাকায় রোহিঙ্গা বহনকারী নৌকা ডুবে যায়। এতে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশিরভাগ যাত্রী সাগরে তলিয়ে যায়।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে লাশগুলো উদ্ধারের খবর পেয়ে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে দাফনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাফনদী ও সাগর তীরবর্তী এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে রাতের আঁধারে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে পৃথক ঘটনায় নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। ওইসব ঘটনায় নিখোঁজ থাকা নারী, পুরুষ ও শিশুর লাশ বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে ভেসে আসছে।
এদিকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে টহল এবং নজরদারি জোরদার করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বুধবার দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাব্বির আলম সুজন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ।
তিনি জানান, পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে চলমান সংঘাতের প্রেক্ষিতে সীমান্ত নিরাপত্তায় কঠোর নজরদারি বজায় রেখেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। চলমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নাফ নদী ও সেন্টমার্টিন এলাকায় যে কোনো প্রকার অবৈধ কার্যক্রম প্রতিরোধে ও উপকূলীয় অঞ্চলে টহল জোরদার করা হয়েছে। সমুদ্রে সার্বক্ষণিক টহল জাহাজ মোতায়েনসহ নিয়মিত হাই স্পিড বোটের মাধ্যমে টহল পরিচালনা করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
এদিকে গত ৩ দিন ধরে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করেছে বলে জানান স্থানীয়রা।
তারা জানান, বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে নৌকা যোগে অনুপ্রবেশ করা অনেকেই কৌশলে ক্যাম্পে প্রবেশ করলেও বিজিবি সদস্যরা কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে। তাদের বিজিবির হেফাজতে রাখা হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/পিএস