মির্জাপুর আ.লীগ কার্যালয় এখন ফাস্টফুডের দোকান

টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় ফাস্টফুডের দোকানের জন্য ভাড়া দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ভাড়াটিয়া সেখানে দোকান উদ্বোধনের ব্যানার টাঙিয়েছেন।
এদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাড়া দেয়ার খবরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
জানা গেছে, প্রায় এক যুগ আগে উপজেলা সদরের কলেজ রোডে মির্জাপুরের প্রয়াত সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন তার মার্কেটের একটি কক্ষে দলীয় কার্যালয় চালু করেন। এরপর থেকে ওই কক্ষটি উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। তিনি মারা গেলে তার ছেলে মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেন মার্কেট ও দলীয় কার্যালয় দেখাশোনা করে আসছিলেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর একদল দুষ্কৃতকারী কার্যালয়টি ভাঙচুর করে। তখন থেকে কার্যালয়টি বন্ধ ছিল। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নিয়ে কলেজছাত্র ইমনের মৃত্যুর ঘটনায় মির্জাপুর থানায় গত ২২ আগস্ট হত্যা মামলা হয়। এতে উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেনসহ ১৫৭ জনকে আসামি করা হলে নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।
গতকাল শুক্রবার হঠাৎ করে আ.লীগের কার্যালয়ের শাটারে আর কে ফাস্ট ফুড এন্ড কফি হাউজ নামে একটি ব্যানার টাঙানো হয়। ভাড়াটিয়া পোষ্টকামুরী গ্রামের বাসিন্দা মো. মিলন মিয়া ও তার প্রবাসী ভাই অন্তর মিয়া। এ ব্যাপারে মো. মিলন মিয়া বলেন, তিনি ও তার ভাই ঘরটি ভাড়া নিয়েছেন। সেখানে ফাস্টফুডের দোকান দেবেন তারা। শিগগিরই উদ্বোধন করা হবে।
এ খবরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহরীম হোসেন সীমান্তের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ বলেন, দলের দুঃসময়ে পার্টি অফিস ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি নেতা-কর্মীদের জন্য বিব্রতকর।
(ঢাকাটাইমস/৭সেপ্টেম্বর/মোআ)

মন্তব্য করুন