বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার গভীর ষড়যন্ত্রে ভারত: নীরব
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য ভারত গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব। তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে চাই ভারতের দাদাগিরি মানবো না। ভারতের সব ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিহত করব। দেশবাসীকে এই বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’
শনিবার শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের শাস্তির দাবিতে রাজধানীর আগারগাঁও র্যাব কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে নীরব এসব বলেন।
নীরব বলেন, ভারতের সবচেয়ে বড় পণ্য শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছে। তাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত শাস্তি দেওয়া হোক। কারণ আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা বসে নেই। তারা নানাভাবে বিভিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্র করছে। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিদায় হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো চক্রান্ত করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার গত দেড় যুগ ধরে বিরোধী মতের লাখ লাখ মানুষের ওপর হত্যা, গুম, জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। এ জুলুমের সবচেয়ে বড় শিকার হয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তিনি বলেন, পুরাতন জঞ্জাল নতুন প্রজন্ম সরাবে। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরিয়ে আমরা এখানে এসেছি। প্রতিবাদী তারুণ্যকে কাজে লাগিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো।
দেশের মানুষকে একটি নতুন প্রেক্ষাপট দেওয়ার জন্য এই আন্দোলন হয়েছিল উল্লেখ করে নীরব বলেন,
ছাত্র-জনতা সাধারণ জনগণ সবাই মিলে রক্ত দিয়ে তুমুল আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ফ্যাসিবাদ সরকারকে শুধু পতনই করে নাই, একেবারে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।
চাঁদাবাজির বিষয়ে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নীরব বলেন, ‘তারেক রহমানের নির্দেশ আছে যদি দলের কেউ কোনো চাঁদাবাজি, নাশকতা ও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত থাকেন তার দায়ভার দল নেবে না। অপরাধী যত বড়ই নেতা হোন না কেন তাকে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। এমন কোনো কাজ করা যাবে না যা জনগণের আস্থা নষ্ট করে, দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান দুলাল, মোহাম্মদ সোলায়মান এছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিভিন্ন থানার নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/০৭সেপ্টেম্বর/জেবি/কেএম)