জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার রায় সংরক্ষিত রেখেছিল আদালত। এদিন জামিনের আবেদন খারিজ এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা— সিবিআইয়ের দায়ের করা দুর্নীতির মামলায় তার গ্রেপ্তারিকে চ্যালেঞ্জ করে দুটি পৃথক পিটিশন দায়ের করেছিলেন কেজরিওয়াল।
তবে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করলেও, সিবিআই কতৃক গ্রেপ্তারিকে বৈধ বলেই স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অন্যদিকে কেজরিওয়াল জামিনে জেলের বাইরে এলে তথ্য-প্রমাণ নষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল সিবিআই। যেহেতু এই মামলায় বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, তাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এই আশঙ্কাকে গুরুত্ব না দিয়ে আপ প্রধানের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত ২৬ জুন একই মামলায় কেজরিওয়ালকে জামিন দিয়েছিল নিম্ন আদালত। যদিও জেল থেকে মুক্তির আগেই, সেই রায় খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। এরপর দিনই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের ভেতর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। পরে হাইকোর্টের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, মদ বিক্রির নীতিমালা সংক্রান্ত মামলায় (আবগারি) নয়টি সমন এড়িয়ে যাওয়ার পর গত ২১ মার্চ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মাঝে লোকসভা নির্বাচনে ভোটের প্রচারের জন্য কেজরিওয়ালকে ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আরও ৭ দিনের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন কেজরিওয়ালের আইনজীবীরা। তবে দীর্ঘ শুনানির পর বিচারক কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন এবং তাকে জেল হেফাজতের রাখার নির্দেশ দেন। ফলে গত ২ জুন পুনরায় তিহাড় জেলে ফিরে যান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তারপর থেকেই জেলে বন্দি অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
এদিকে কেজরিওয়াল ও তার দল একাধিকবার দাবি করেছে, বিজেপি সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা ইডি তাকে গ্রেপ্তার করে আম আদমি পার্টিকে দমাতে চায়। আরও বেশ কয়েকটি বিরোধী দলও বিজেপির বিরুদ্ধে ইডিকে নিজ স্বার্থে কাজে লাগানোর অভিযোগ তুলেছে। তাদের দাবি, নেতাদের বিরুদ্ধে এই সংস্থাকে ব্যবহার করছে বিজেপি।
সূত্র: এনডিটিভি
(ঢাকাটাইমস/১৩সেপ্টেম্বর/এমআর)