বিসিবির চাকরি ছাড়ার কারণ জানালেন হাথুরুসিংহে
দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এর আগে প্রথম দফায় ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ জাতীয় দলের হেড কোচ ছিলেন হাথুরুসিংহে। চুক্তির মাঝপথে হাথুরু অনেকটা আকস্মিকভাবে বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যান। সেসময় গুঞ্জন উঠেছিল যে, কোনো ক্রিকেটার বা বোর্ডের প্রভাবশালীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতির কারণেই বাংলাদেশ ছেড়েছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে প্রায় সাত বছর পর মুখ খুললেন হাথুরুসিংহে।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে প্রথম দফায় বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘(হাসি) খুব ভালো একটি প্রশ্ন। আমার এক বন্ধুও আজকে আমাকে এই প্রশ্নটিই করেছে। তখন আসলে আমি আমার অনেক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম আমার কী করা উচিত? শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট তখন অনেক খারাপ অবস্থায় ছিল। আপনার মনে থাকবে জিম্বাবুয়ের কাছে আমরা হেরেছিলাম, বাতাসেও অনেক গুঞ্জন ভাসছিল, ম্যাচ ফিক্সিং দুর্নীতি আরও কতকিছু। একটা ব্যাপার ছিল আমার মধ্যে – তা হচ্ছে আমার প্যাশন।'
তিনি আরও বলেন, 'যে আমি নিজের দেশকে কোচিং করাতে চাই। আমার মনে হয়েছে তখনই সেরা সময় ছিল। তখনকার সহ-সভাপতি ছিলেন সম্ভবত মাথুয়ানা সাহেব তিনিও প্রথম আমার সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেছিলেন আমাকে দায়িত্বটি নেওয়ার জন্য। তাদের কোনো কোচ ছিল না তখন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ দিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছিল। ফলে এখানে এই দুটি কারণের মিশ্রণ ছিল – যে আমার প্যাশল ছিল নিজ দেশকে কোচিং করানো। আমি যা হতে পেরেছি তা তো ক্রিকেটের জন্যই হতে পেরেছি।’
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটে যোগ দেওয়া নিয়ে হাথুরু বলেন, ‘এর সাথে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ঠিক করার ইচ্ছাটাও ছিল। কারণ আমরা তখন এতটাও খারাপ ছিলাম না। আমি জানতাম সেখানে এমন কিছু চলছিল যা আসলে সঠিক ছিল না। এই দুটি কারণই ছিল।’
হাথুরুসিংহের অধীনে বাংলাদেশের সাফল্য কম নয়। ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে সাকিবরা খেলে তার অধীনে। এছাড়াও ২০১৫ সালে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ জয় ছাড়াও ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড ও ২০১৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্ট জিতেছিল বাংলাদেশ। মোটকথা সাফল্যের মালায় গাঁথা ছিল তার প্রথম অধ্যায়।
দ্বিতীয় দফায় ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফের দায়িত্ব নেন এই লঙ্কান কোচ। এবারের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ শান্তরা। সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি পাকিস্তানের মাটিতে ঐতিহাসিক টেস্ট জয়।
(ঢাকাটাইমস/১৭সেপ্টেম্বর/এনবিডব্লিউ)