বহিঃশক্তি শকুনের মতো শিল্প কলকারখানায় থাবা দেওয়ার চেষ্টা করছে: শিমুল বিশ্বাস
বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী এবং শ্রমিক দলের প্রধান সমম্বয়ক অ্যাডভোকেট শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, আধিপত্যবাদী বহিঃশক্তি শকুনের মতো দেশের শিল্প কলকারখানায় থাবা দেওয়ার চেষ্টা করছে। যে কারণে অতীতে বন্ধ হয়েছিলো দেশের বৃহৎ পাটশিল্প, সুতা-বস্ত্র, চিনি, কাগজসহ বিভিন্ন কলকারখানা। নতুন করে ষড়যন্ত্র চলছে শিল্প প্রতিষ্ঠানে অস্থিরতা সৃষ্টি করে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করার।
বৃহস্পতিবার বিকালে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে জেলা শ্রমিকদল আয়োজিত সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি দমন, শিল্প কলকারখানায় উৎপাদন স্বাভাবিক রাখা, শিল্পাঞ্চলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষা ও শ্রমিকদের নিয়মিত বেতন পরিশোধের দাবিতে এক শ্রমিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা শ্রমিকদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এতে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
শিমুল বিশ্বাস বলেন, অপকর্মে জড়িত ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী সহযোগী ও প্রতিবেশী রাষ্ট্র। তারা তাদের আজ্ঞাবহ এবং কৃতদাস সরকারের পতন হওয়ার পর থেকেই দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। যে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে, গুম করেছে, দেশের সম্পদ লুট করেছে, অর্থনীতিকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করেছে সে আওয়ামী লীগকে ভারত আজও নির্লজ্জভাবে সমর্থন দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বহিঃবিশ্বের ষড়যন্ত্র রূখতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে পাহাড়া দিতে হবে। ৩০ দিনে হাজারও রক্তের বিনিময়ে মানুষ যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। শহীদ জিয়া যেভাবে মানুষকে ভালবেসেছে, খালেদা জিয়া যেভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয়ব্যক্ত করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে। যারা সন্ত্রাস চাঁদাবাজী দখল বেদখল করবে, যারা বন্দর, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সড়ক পরিবহন, ঔষধ কারখানা, গার্মেন্টস এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে প্রতিবিপ্লবে সহায়তা করার চেষ্টা করবে তাদের শক্তহাতে প্রতিহত করতে হবে। এরজন্য শ্রমিকদলকেই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
শ্রমিক সমাবেশে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, যে দুর্নীতি এবং লুটপাটের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করতে গিয়ে হাজার হাজার মানুষ জীবন দিয়েছে সে চাঁদাবাজি এবং দখলদারিত্ব রূখে দিতে হবে। বিএনপির কাছে জনগণের অনেক প্রত্যাশা। সে প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজের স্থান নেই। কেউ যদি বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি বা দখলদারি করে তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দেবেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন দলটির যুগ্ম শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য আকম মোজাম্মেল, জেলা বিএনপি নেতা আব্দুল কুদ্দুস ধীরেন, অপু চাকলাদার, গোলাম গাউস সিদ্দিকী, চঞ্চল মাহমুদ, আসাদ হোসেন আশু, ওমর ফারুক অবাক, মোক্তার হোসেন খান প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/১৯সেপ্টেম্বর/জেবি/ইএস