ফরিদপুরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে দোকান দখলের অভিযোগ

ফরিদপুরের নগরকান্দায় তিনটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখলের অভিযোগ উঠেছে বিএনপির স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা পৃথকভাবে নগরকান্দা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি বলে জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর উপজেলার তালমা ইউনিয়নের রসুলপুর বাজারে থাকা পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রঞ্জিত বিশ্বাস, আব্দুল হালিম মিয়া ও মোশারফ হোসেন মাতুব্বরের দোকানঘর দখল করে তালা দেন উপজেলা বিএনপির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মো. খায়রুজ্জামান মোল্যা। বিষয়টি স্থানীয়রা কয়েক দফা মীমাংসা করে দিলেও দোকানের তালা খুলে দেননি খায়রুজ্জামান।
এতে দোকানে থাকা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পরে ১৩ সেপ্টেম্বর পৃথকভাবে তিনটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। কিন্তু থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত খায়রুজ্জামানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। বরং থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর থেকে ওই বিএনপি নেতা তাদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে রসুলপুর বাজারের খালপাড়ে থাকা সরকারি জায়গা লিজ নিয়ে দোকানঘর নির্মাণ করে পেঁয়াজ-পাটের ব্যবসা করে আসছি আমরা। কিন্তু ৬ আগস্ট দোকানের সামনে এসে বিএনপির স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা খায়রুজ্জামান মোল্যা আমাদের দোকান থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। আমরা না বের হতে চাইলে তিনি আমাদের গালাগাল করে চলে যান। পরে আমরা দোকান বন্ধ করে বাড়িতে গেলে খায়রুজ্জামান এসে পাশাপাশি থাকা তিনটি দোকানে ডাবল তালা মেরে দেন।
তবে দখল করা এসব দোকান নিজেদের বলে দাবি করেছেন মো. খায়রুজ্জামান মোল্যা।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আমাদের জায়গায় থাকা তিনটি দোকান দখল করে নেন স্থানীয় প্রভাবশালী ওই ব্যবসায়ীরা। আওয়ামী লীগের পতনের পর আমাদের জায়গা পুনরুদ্ধার করার জন্য এসব দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছি।’
নগরকান্দা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান বাবুল তালুকদার বলেন, ‘দখলদার ও চাঁদাবাজ দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আমাদের নেতা তারেক রহমান ও ফরিদপুর-২ আসনের বিএনপি নেত্রী শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু। অতএব কোনো বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে যদি চাঁদাবাজি ও কারো দোকান দখলের অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামানের বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ সফর আলী বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে ডেকেছিল। তবে ওই জায়গার সঠিক কাগজপত্র কেউ দেখাতে পারেনি। যে কারণে আমরা বাদী-বিবাদীকে বিষয়টি কোর্টের মাধ্যমে মীমাংসা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’
(ঢাকাটাইমস/২০সেপ্টেম্বর/পিএস)

মন্তব্য করুন