সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন
প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট ও সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)।
বি. চৌধুরীর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী তার ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছেন।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী স্ত্রী, এক ছেলে, দুই মেয়ে এবং নাতি-নাতনি রেখে গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৪ বছর।
বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ফুসফুসে সংক্রমণ হয়েছিল। এ অবস্থায় গত ২ অক্টোবর সকালে তাকে উত্তরা মহিলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তিনি আগে থেকেই স্কিমিক হার্ট ডিজিজেসে ভুগছিলেন বলে জানান তার মেয়ে ডা. শায়লা চৌধুরী। হাসপাতালে ভর্তির পর অবস্থার আরও অবনতি হলে বৃহস্পতিবার রাতে বি. চৌধুরীরকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
একেএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর পৈতৃক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার মজিদপুর দয়াহাটায়। তিনি ১৯৩০ সালের ১১ অক্টোবর কুমিল্লা শহরে (প্রখ্যাত মুন্সেফ বাড়ি) নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী কৃষক প্রজা পার্টির সহ-সভাপতি, যুক্তফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন।
বি. চৌধুরী একজন খ্যাতিমান চিকিৎসক ছিলেন। ১৯৭৮ সালে তিনি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানের অনুরোধে রাজনীতিতে আসেন। ১৯৭৯ সালে তিনি শ্রীনগর থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর কেবিনেট মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ১৯৯১ সালে দ্বিতীয়বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত এবং প্রথমে শিক্ষামন্ত্রী ও পরে সংসদ উপনেতা হন তিনি। ১৯৯৬ সালে তিনি সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতার দায়িত্ব পালন করেন। সবশেষ ২০০১ সালে তিনি পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং একই বছরের অক্টোবর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তৎকালীন বিএনপি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী ২০০১ সালের ১৪ নভেম্বর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। রাজনৈতিক কারণে ২০০২ সালের ২১ জুন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি।
প্রবীণ এই রাজনীতিবিদ ২০০৪ সালের ৮ মে বিকল্পধারা বাংলাদেশ নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দলটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/০৫অক্টোবর/এফএ)