আলোচিত জামিল হত্যা মামলা: স্ত্রী ও ভায়রাসহ ৩ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

পুরান ঢাকার ব্যবসায়ী জামিল হোসেনকে (৩২) গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যার আলোচিত মামলায় নিহতের স্ত্রী মৌসুমি ও ভায়রা ভাই জুয়েল রানা ওরফে তানভীরসহ তিনজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
আমৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত অপর আসামি হলেন– ভাড়াটিয়া খুনি শফিকুল আলম ওরফে কসাই শফিক। এছাড়া এ মামলায় খালাস পেয়েছেন নিহত জামিলের স্ত্রী মৌসুমির বাবা এরফান ও মো. ইউনূস।
মামলার অপর আসামি এমরান হাসান ওরফে ইমরান ওরফে সুলতান ঘটনা সম্পর্কে সবকিছু জানার পরও তা গোপন রাখার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
ঢাকার সোয়ারীঘাটে গাম ও স্কচটেপের কারখানা ছিল জামিলের। ওয়াটার ওয়ার্কস রোডের ৫৯ নম্বর বাসার দ্বিতীয় তলায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন তিনি। জুয়েল রানা ওরফে তানভীর জামিলের ভায়রা ভাই। তার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে জামিলের স্ত্রী মৌসুমির। তারই জেরে ২০১৬ সালের ২ মে জুয়েল ও মৌসুমিসহ অন্যরা জামিলকে গলাকেটে হত্যা করে।
হত্যার পর জামিলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না– স্ত্রী এটা প্রচার করলে এ নিয়ে চকবাজার থানায় একটি জিডি করা হয়। এরপর পুলিশ স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার বক্তব্যে অসংলগ্নতা পাওয়া যায়। পরে তাকেসহ স্বজনদের নিয়ে রহমতগঞ্জের বাসায় যাওয়া হয়।
এ সময় বাসা তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ চাবি চাইলে তা হারিয়ে ফেলেছেন বলে দাবি করেন মৌসুমি। এরপর তালা ভেঙে ঘরে ঢুকতেই দুর্গন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে খাটের নিচে বস্তায় ভরে রাখা জামিলের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়।
এ ঘটনার পরদিন জামিলের বড় বোন শাহিদা পারভীন চকবাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম।
(ঢাকাটাইমস/১৭অক্টোবর/আরজেড/এজে)

মন্তব্য করুন